বাঘের আক্রমণের মুখে সন্তানের প্রতি ভালোবাসার অনন্য প্রমাণ দিলেন এক মা। নিজের জীবন বাজি রেখে কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াই বাঘের থাবা থেকে সন্তানকে ছিনিয়ে এনেছেন তিনি। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলার।
Advertisement
অর্চনা চৌধরী। রোহানিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ছেলেকে নিয়ে প্রাতকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন কাছেরই একটি জমিতে। তখনই শিশুটির ওপর হামলা চালায় বাঘ। তাকে মুখে করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন পিছু ধাওয়া করে সন্তানকে বাঘের মুখ থেকে কেড়ে আনেন অর্চনা।
জানা গেছে, প্রথমে একটি থাবা পড়লো হাতে। তার পর আরও একটি জোরালো থাবা। এবার সে থাবা পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করলো। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। কিন্তু সেদিক তখন ভ্রূক্ষেপ ছিল না অর্চনার। তার লক্ষ্য তখন সন্তানকে বাঘের মুখ ছিনিয়ে নেওয়া। শিশুর ঘাড়ে যেই না দাঁত বসানোর চেষ্টা করলো অমনি জোরে একটা ঘুসি গিয়ে পড়ল বাঘের মুখে। তার পর একের পর এক লাথি।
উল্টো দিকে শিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে দেখে বাঘও আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল। একটা থাবা পড়ে অর্চনার বুকে। একটা পেটে। তবু খালি হাতে লড়াই চালিয়ে যান অর্চনা। আর বাঁচানোর জন্য চিৎকার করছিলেন। প্রায় কয়েক মিনিট এভাবেই বাঘের সঙ্গে লড়াই চলে অর্চনার। নিজে বাঘের থাবায় গুরুতর আহত হলেও সন্তানকে বাঘের মুখে থেকে শেষমেশ কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রবল বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ জঙ্গলে পালিয়ে যায় বাঘটি।
Advertisement
মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে অর্চনা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পেটে গভীর ক্ষত। ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও সোমবার থেকে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অর্চনার সন্তানের মাথায় বাঘের দাঁতে গভীর ক্ষত হয়েছে। তবে সঙ্কটজনক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এমআইএইচএস/এএসএম