তোমরা রেশম বা রেশমজাত কাপড় পরো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না। এগুলোর বাসনে খাবার খেয়ো না। তবে দুনিয়াতে নারীদের জন্য রেশমি পোশাক পরার বিধান থাকলেও সোনা-রূপার পাত্রে খাওয়া ও পান করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন?
Advertisement
হজরত হুজাইফা ইবন আল-ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
لا تلْبَسُوا الحرير ولا الديباج، ولا تشربوا في آنية الذهب والفضة ولا تأكلوا في صِحَافِهِمَا؛ فإنَّهَا لهم في الدنيا ولكم في الآخرة ‘তোমরা রেশম বা রেশমজাত কাপড় পরো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য।’ (বুখারি ও মুসলিম)
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষকে রেশম বা রেশমজাত কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। কেননা পুরুষের জন্য এ গুলো পরা তার মধ্যে নরম স্বভাব, মেয়েলীভাব, কোমলতা ও বিলসী নারীর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। অথচ পুরুষের হওয়া উচিত কঠোর, শক্তিশালী ও যুবকসূলভ।
Advertisement
এমনিভাবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী-পুরুষ উভয়কে সোনা ও রূপার পাত্রে খাবার ও পান করা থেকে নিষেধ করেছেন। এর হিকমত হলো নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেন যে, এগুলোতে দুনিয়াতে কাফিররা পানাহার করে। যারা তাদের ভালো জিনিসগুলো দুনিয়াতে দ্রুত নিঃশেষ ও উপভোগ করে।
আর তোমাদের জন্য অর্থাৎ শুধু মুসলিমদের জন্য তা পরকালে। যখন তোমরা আল্লাহর ভয়ে ও আল্লাহর কাছে যা রয়েছে তা পাওয়ার আশায় তা দুনিয়ায় পরিহার করেছিলো। এরপর কাফেরদের সঙ্গে সাদৃশ্য ও আল্লাহর আদেশ মান্য করতে সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার করাকে হারাম করা হয়েছে।
এমনিভাবে যেসব পুরুষ দুনিয়াতে রেশমি কাপড় পরিধান করবে সে তার পরকালীন ভোগসামগ্রী দুনিয়াতে ভোগ করায় আখেরাতে কখনও তা পরতে পারবে না।
আর নিয়ম হলো, কেউ সময় আসার আগে হারাম পন্থায় কোনো কিছু পেতে তাড়াহুড়া করলে তাকে তা থেকে বঞ্চিত করে শাস্তি প্রদান করা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর পুরুষদের রেশমি পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আর নারী-পুরুষ উভয়কে সোনা-রূপার পাত্রে খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম