পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। মাত্র ২৩৩ রানের। তবে এই পুঁজিকেও অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুর্বোধ্য বানিয়ে ছেড়েছিল নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। মিডল অর্ডারে দুই ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারে এবং ক্যামেরন গ্রিনের দুর্দান্ত সাহসিকতায় শেষ পর্যন্ত জয় হলো অস্ট্রেলিয়ারই।
Advertisement
২৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অসিরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ক্যামেরন গ্রিন আর অ্যাডাম জাম্পার দৃঢ়তায় ম্যাচটা ৩০ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটে জয় করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নসের ক্যাজালিস স্টেডিয়ামে এ নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হলো। আগের দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাও ১৯ বছর আগে, ২০০৩ সালে। দু্টি’ই বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৯ বছর পর এই মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। জয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রাখলো তারা।
২৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানেই প্রথম সারির ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ করে ম্যাট হেনরি আর ট্রেন্ট বোল্টের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খড়-কুটোর মত উড়ে যেতে থাকে অসি ব্যাটারদের উইকেট।
Advertisement
৬ষ্ঠ উইকেটে জুটিটা বাধেন অ্যালেক্স ক্যারে এবং ক্যামেরণ গ্রিন। দু’জন মিলে ১৫৮ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিই মূলতঃ অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দেন।
অ্যালেক্স ক্যারে আর ক্যামেরন গ্রিনের ১৫৮ রানের জুটি সত্ত্বেও ম্যাচ শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যায়। কারণ, ২০২ রানের মাথায় অ্যালেক্স ক্যারে আউট হয়ে যাওয়ার পর ২০৭ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেটের পতন ঘটে। অর্থ্যাৎ, ৫ উইকেটে ২০২ থেকে ৮ উইকেটে ২০৭ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
এ সময় নাটকীয় কিছু ছাড়া জয় যেন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সেই অসম্ভব কাজটাই করলেন ক্যামেরন গ্রিন এবং অ্যাডাম জাম্পা। ৯ম উইকেটে অ্যাডাম জাম্পা এবং ক্যামেরন গ্রিন মিলেই ম্যাচ শেষ করে দেন। ৯২ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রিন। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। অ্যাডাম জাম্পা অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ১৩ রান করে।
৯৯ বলে ৮৫ রান করে আউট হন অ্যালেক্স ক্যারে। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকটে নেন ম্যাট হেনরি এবং লকি ফার্গুসন।
Advertisement
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে করেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান। ৪৫ রান করে কেনে উইলিয়ামসন এবং ৪৩ রান করেন টম ল্যাথাম। ২৬ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৩২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেন ৪ উইকেট। জস হ্যাজলউড নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক এবং অ্যাডাম জাম্পা।
আইএইচএস/