দেশজুড়ে

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যা মামলায় খালাস পেলেন স্বামী

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. আনোয়ার হোসেন ফরাজী (৪৮) নামের একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

Advertisement

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহা. মুহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ফরাজী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মেনাজ উদ্দিন ফরাজীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মোসা. তসলিমা বেগমের (৩০) সঙ্গে মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আনোয়ার হোসেন স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির পাশে আবাসন প্রকল্পে বসবাস শুরু করেন। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে তসলিমার ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন আনোয়ার।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর শ্বশুরের কাছ থেকে চাল কিনেন আনোয়ার। এরপর ওই চাল কম দেওয়ার অভিযোগে তসলিমাকে মারধর করেন তিনি। খবর পেয়ে তসলিমার বাবা মান্নান হাওলাদার স্থানীয় লোকজন নিয়ে ওই বাড়ি গিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করাতে চান। তবে আনোয়ার শ্বশুরের কাছে মাফ চেয়ে স্ত্রী তসলিমার চিকিৎসা করান। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আবারও তসলিমাকে মারধর করেন তিনি। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি ভোরে তসলিমা মারা যান।

Advertisement

খবর পেয়ে তসলিমার বাবা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। ওই দিনই তসলিমার বাবা বাদী হয়ে জামাতা আনোয়ারকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ২ জুলাই ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আমিন সিকদার ঘটনাটি তদন্ত করে আসামি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় আটজন সাক্ষী বিভিন্ন সময়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, বিচারক চার্জশিটভুক্ত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তীতে আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

এসজে/জিকেএস

Advertisement