খেলাধুলা

দারুণ খুশি মুস্তাফিজ

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু আর সানরাইজার্স হায়দারাবাদের মধ্যে দারুন লড়াই হলো মুস্তাফিজকে নিয়ে। ৫০ লাখ রুপি থেকে শুরু করে ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি পর্যন্ত উঠলো মুস্তাফিজের মূল্য। শেষ পর্যন্ত জয় হলো সানরাইজার্স হায়াদারাবাদের। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কো ৬২ লাখ টাকায় বাংলাদেশের তরুন পেস সেনসেশনকে জয় করে নিল আইপিএলের দলটি। মোট ৫ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম উঠেছিল নিলামে। একমাত্র মুস্তাফিজই মনযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছেন আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের। অবিক্রিত থেকে গেছেন তামিম, সৌম্য, মুশফিক এবং তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত অভিষেকের পর থেকেই সবার নজর কাড়েন মুস্তাফিজ। যে কারণে পাকিস্তানের পিএসএলেও আকর্ষনের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। নাম রয়েছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও।আইপিএলে ৬ষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে নাম লেখালেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক সবচেয়ে আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টটিতে নাম লেখাতে পেরে দারুন খুশি মুস্তাফিজ। নিলামের সময় মুস্তাফিজ ছিলেন একটি পন্যের মডেল হিসেবে শুটিংয়ে ব্যস্ত। তখনই অবশ্য মোবাইলে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সংবাদটা পেয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই একটি অনলাইন মিডিয়াকে মুস্তাফিজ নিজের অনুভূতি জানান।আইপিএলে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে। আগে থেকেই আশা ছিল, সুযোগ পাব। সবাই বলাবলি করছিল আমাকে এবার নিতে পারে। সাকিব ভাই খুব ভালো খেলছেন ওখানে, মাশরাফি ভাইরা খেলেছেন। আমিও খেলতে পারব ভেবে ভালো লাগছে।’ অনেকেই ভেবেছিল মুস্তাফিজের মূল্য উঠতে পারে আরও অনেক বেশি। যেখানে ভারতের আনকোরা, নাম না জানা অনেক ক্রিকেটারের দাম উঠে যাচ্ছে আকাশছোঁয়া, কয়েক কোটি রুপি, সেখানে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হওয়া মুস্তাফিজের এত কম দাম! তবে এসব নিয়ে কোন ভাবনা নেই বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। সেই অনলাইন মিডিয়াকে তিনি বলেন, ‘টাকার অঙ্ক নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। এটা আমি ভাবিনি যে কত পেতে পারি বা কত উঠতে পারে। আমি শুধু চাইছিলাম যেন খেলতে পারি। খেলার সুযোগ পেলেই সেটি হবে অনেক বড় অভিজ্ঞতা। সুযোগটা পেয়েছি, এতেই আমি খুশি।’আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement