টেলিভিশনের পর্দায় শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠানের নাম সিসিমপুর। সুযোগ পেলেই টুকটুকি, ইকরি এবং হালুমদের দেখায় ব্যস্ত হয়ে উঠে তারা। কিন্তু কখনো ভাবেনি যে টুকটুকি, হালুমদের সবসময় টিভির পর্দায় দেখতে হয়েছে তাদের সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে। অমর একুশে বইমেলার ৬ষ্ঠ দিনে শিশু প্রহরের দ্বিতীয় দিনে শিশুদের বিনোদন দেয়ার জন্য এমন আয়োজন করেছে সিসিমপুর। শনিবার বেলা ১২টায় মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশু চত্বরে কোমলমতি শিশুদের ডাকে একে একে হাজির হয় টুকটুকি, হালুম, ইকরিরা। এসেই নিজেদের স্বভাবসুলভ আচরণ। টিভিপর্দায় যে ডায়ালগগুলো নিয়মিত দিয়ে থাকে তারই পুনরাবৃত্তি করলো তারা। কোমলমতি শিশুদের একযোগে টুকটুকি, টুকটুকি ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথমে শিশু চত্বরে হাজির হয় বই পড়তে ভালোবাসা টুকটুকি। এসেই নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললো, `আমার নাম টুকটুকি। বই পড়তে ভালোবাসি। আমার মাথায় বড় চুুল, তাই আমি বেনী করি।` সাথে সাথে চলছে শিশু চত্বরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের সাথে হাত মিলানোর কাজে।এরপর ডাকা হয় মাছ খাওয়া হালুমকে। সেও এসে বললো `মাছ ভাজা, খেতে কি মজা। তাইতো আমি বেশী বেশী মাছ খাই।` সাথে সাথে টুকটুকির সাথে নাচানচি। পাশের শিশুদের সাথে আবারও হাত মিলানোর কাজে ব্যস্ত সে। এরপর আসে প্রশ্ন করতে ভালোবাসা ইকরি। সেও এসে বললো, `আমি ইকরি, প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। কারণ প্রশ্ন করলে সবকিছু জানা যায়।`এরপর একসাথে সবাই মিলে শিশুদের সাথে হাত মিলানোর কাজে ব্যস্ত। বেশ কয়েকজন শিশু মঞ্চে উঠে ইকিরি, হালুম, টুকটুিকিদের ধরতে ব্যস্ত হয়ে যায়। দৌঁড়াদোড়ি শুরু করে তারা। এভাবে বইমেলায় শিশু প্রহরে শিশুদের বিনোদন দেয় সিসিমপুর। আয়োজকরা বলেন, প্রতিবছর শিশু চত্বর বাংলা একাডেমিতে করা হতো। এবার সেখানে করা হয়নি। তাই আমরা বাংলা একাডেমির সাথে কথা বলে শিশুদের বিনোদন দেয়ার জন্য শিশু কর্নারে এর আয়োজন করেছি। চেষ্টা করছি শিশুদের মানসিক বিকাশে যেন কিছু বিনোদন দিতে পারি।রাজধানীর মনিপুর থেকে আসা কামরুজ্জামান শামীম নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, তার কাছে খুব ভালো লাগছে। সে বিশ্বাস করতে পারছে না হালুম তার কাছে আসবে। উদয়ন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আকিফা তাবাস্সুম বলে, ভাইয়া হালুম, টুকটুকিরা আমাদের কাছে আসছে। টিভিতে আগে দেখেছি। এখন সরাসরি দেখছি তাদের। আমার অনেক ভালো লাগছে। সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, বইমেলায় শিশুদের জন্য এমন চমৎকার আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। আমিতো মেলা থেকে বের হয়েই যাচ্ছিলাম, তখন বাচ্চারা বলে মাইকে বলছে হালুমরা আসবে ওখানে যাবে। তখন এদের নিয়ে হাজির হই এখানে।এমএইচ/এআরএস/এবিএস
Advertisement