ক্যাম্পাস

শাবিতে নৃবিজ্ঞান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞানের সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শনিবার সকালে শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ তাদের দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.আমিনুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, আমাদের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যে ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছি এবং হচ্ছি আমার মনে হয় পৃথিবীর অন্য কোন জাতি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হননি। শত্রুদের হটিয়েই আমরা মনে করেছিলাম বাধা শেষ কিন্তু এখনও দেশের অগ্রযাত্রায় দেশের ভেতর থেকেই বাধা আসছে।তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার চার দশক পর আজকে আমরা দারিদ্র্য সীমা অতিক্রম করে ধাপে ধাপে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্ধ দিচ্ছে।জ্ঞান বিজ্ঞানে শাবির অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, সব সময় আমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদাভাবে দেখি। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর থাকা প্রয়োজন। এখানে নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর করার জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে আমি সহযোগিতা করবো।সম্মেলনে স্বগত বক্তব্য রাখেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম। মূল বক্তা ছিলেন প্রখ্যাত আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী ড. থেরেস ব্লাঞ্চেট এবং প্যানেল বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এস এম নুরুল আলম।সম্মেলনের প্রথম দিনে ১০টি সায়েন্টিফিক সেশনের মাধ্যমে মোট ৫৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। আর সম্মেলনের সমাপনী দিন রোববার ৬টি সায়েন্টিফিক সেশনের মাধ্যমে ২৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাজহারুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, সম্মেলনে দেশবরেণ্য নৃবিজ্ঞানীরা ছাড়াও প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ভারত, নেপাল, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত নৃবিজ্ঞানীরা।আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এসএস/এমএস

Advertisement