শিশু সন্তানের জন্মে পরিবারে আনন্দ নেমে আসে। নবজাতকের জন্মে আনন্দ করা নিষেধ নয়। মদিনায় হিজরতের পর প্রথম এক সাহাবির সন্তান হলে সব সাহাবি আনন্দ উৎসব করেন। নবজাতক শিশুকে সবাই ভালোবাসেন। ভালোবেসে অনেক নবজাতককে আদুরে নামে ডাকেন। শিশুদের নানান প্রিয় শব্দে ডাকা নবিজির সুন্নাত। তিনি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে শৈশবে ‘হুমায়রা’ (বণ্য) নামে ডাকতেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম কোনটি? এ সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, পিতার ওপর নবজাতকের হক (অধিকার) হলো তার জন্য সুন্দর নাম রাখা। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো ‘আবদুল্লাহ’ ও আবদুর রহমান’। (কানজুল উম্মাল)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে তোমাদের নামসমূহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নাম হলো- আবদুল্লাহ এবং আবদুর রহমান।’ (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, আদাবুল মুফরাদ, মুসান্নাফে ইবনু আবি শায়বা, মুসনাদে আহমাদ)
এছাড়া ‘মুহাম্মাদ’ নামাজের মর্যাদাও অনেক বেশি। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যার তিন তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অথচ সে কারও নাম ‘মুহাম্মাদ’ রাখল না, সে জাহিল (মূর্খ) সুলভ আচরণ করলো।’ (কানজুল উম্মাল)
Advertisement
হজরত আবু রাফি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কারও নাম ‘মুহাম্মাদ’ রাখলে তাকে মারধর করবে না এবং তাকে অসম্মান করবে না।’ (কানজুর উম্মাল)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিশুদের সুন্দর ও শ্রেষ্ঠ নাম রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement