জাতীয়

‘১৫০ আসনে না পারলেও ৭০-৮০ আসনে ইভিএমে ভোট’

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, যদি সচিবালয় যথাসময়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দিতে পারে তাহলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। আর যদি সচিবালয় দিতে না পারে, তাহলে ৭০-৮০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে।

Advertisement

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার হয়েছে, সেসব এলাকায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে।

মো. আলমগীর বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের না। ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা হয়তো একটা গাইডলাইন চাইতে পারে আমাদের কাছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, এটা ধরেই ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় যদি দিতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কারণ কেবল অর্থ নয়, সবকিছু পেলেই কেবল সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে হবে।

Advertisement

‘সরকার টাকা দিলে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় বা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে, তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে ৭০-৮০টি আসনে নিশ্চিত। আমাদের যা ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৭০-৮০টাতে হবে।’

সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। সম্ভব হলে সব ভোটকক্ষেই দেবো। আমরা এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেবো। কারণ সংরক্ষণ, মেরামতের বিষয় আছে। ভোটের পর তারা সিডি দেবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেমন দিয়েছে। সেখানে সব কিছুর রেকর্ড থাকবে।

এইচএস/এমএইচআর/জিকেএস

Advertisement