কিংবদন্তি গীতিকার ও চলচ্চিত্র প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যু শোক নেমেছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গণে।
Advertisement
চলচ্চিত্র, সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গণের ব্যক্তিত্বরা শোক জানাচ্ছেন। অনেকেই ছুটে আসছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারে বাসা ও ইউনাইটেড হাসপাতালে। শেষবারের মতো দেখছেন প্রিয় মানুষটির মুখ।
গাজী মাজহারুলের মৃত্যুতে শোকাহত ঢালিউড কিং শাকিব খানও। মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসনে শাকিব। দুপুর ১২টার দিকে তিনি সেখানে যান। এসময় তিনি মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সান্ত্বনা ও সহমর্মিতা দেন।
১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্ম গাজী মাজহারুলের। ১৯৬৪ সালে ২১ বছর বয়সে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন তিনি।
Advertisement
পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে। ওই চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘আয়না ও অবশিষ্ট’।
১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তিনি মোট ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।
গাজী মাজহারুলের পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম- ‘শাস্তি’, ‘চোর’, ‘শর্ত’, ‘স্বাধীন’, ‘সমর’, ‘রাগী’, ‘আর্তনাদ’, ‘জীবনের গল্প’, ‘পাষানের প্রেম’, ‘তপস্যা’, ‘ক্ষুধা’, ‘পরাধীন’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’।
অসংখ্য কালজয়ী গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। ২০ হাজারেরও বেশি গানের রচয়িতা তিনি।
Advertisement
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ ও ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’ তার লেখা তুমুল জনপ্রিয় দুটি গান। বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার লেখা তিনটি গান।
এমআই/এএএইচ/এমএস