কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোক নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে অনেকের মতো শোক জানিয়েছেন তারই পরিচালিত প্রথম সিনেমার ‘নান্টু ঘটক’ অভিনেত্রী অঞ্জনা।
Advertisement
জাগো নিউজকে অঞ্জনা বলেন, ঘুম থেকে উঠেই শুনি গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই নেই। আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এত কষ্ট লাগছে কোনোভাবেই মনকে বোঝাতে পারছি না, চোখের পানি আটকাতে পারছি না।
তিনি বলেন, কত স্মৃতি কত স্নেহ এ মানুষটির কাছ থেকে পেয়েছি তা মুখে বলে এবং লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। এ মহান মানুষটির সম্পর্কে কোথা থেকে শুরু করবো তা আমি জানি না।
অঞ্জনা বলেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ভাই পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র বাম্পারহিট ‘নান্টু ঘটক’ চলচ্চিত্রে তিনি আমাকে প্রধান নায়িকা হিসেবে সিলেক্ট করেন। ছবিটি সেসময় অনেক ব্যবসাসফল হয়। এর আগে গাজী ভাইয়ের প্রযোজনায় নির্মিত আরও দুটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জিঞ্জির’ ও ‘আনারকলি’তে তিনি আমাকে নায়িকা হিসেবে সিলেক্ট করেন।
Advertisement
‘এরপর গাজী ভাই পরিচালিত আরেকটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র বাম্পারহিট ‘বিচারপতি’তেও তিনি আমাকে নায়িকা হিসেবে কাস্ট করেন। এ মানুষটির প্রযোজনায় নির্মিত চারটি চলচ্চিত্রে তিনি আমাকে নিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের সবসময় একটা সুসম্পর্ক ছিল। আমার বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণের সে সূচনালগ্ন থেকে গাজী ভাইয়ের অনেক স্নেহ পেয়েছি। তিনি ছিলেন বাংলার অহংকার।
‘বাংলা চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ার একটি অমর নাম। তিনি ছিলেন সংস্কৃতির একটি ইনস্টিটিউট। প্রায় ২০ হাজার গান লিখেছেন। বাংলাদেশের আর কোনো গীতিকবি এত গান লিখতে পারিনি।’
নায়িকা আরও বলেন, পরিচালক, প্রযোজক হিসেবে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। দেশ চিত্রকথা মানেই সাকসেসফুল চলচ্চিত্র। বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি হে গুণী। আপনি আপনার অমর কাজের মাধ্যমে বাঙালির হৃদয়ে অনন্তকাল ধরে দীপ্তমান সূর্যের মতো বেঁচে থাকবেন।
Advertisement
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমআই/এমআইএইচএস/এমএস