কয়েক মাস আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল বলিউড অভিনেতা সোহেল খান ও সীমা খান একসঙ্গে থাকছেন না। এবার আইনিভাবে ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক। ইতি ঘটেছে সোহেল-সীমার ২৪ বছরের দাম্পত্য জীবন।
Advertisement
এখানেই শেষ নয়, ফ্ল্যাটের মূল দরজার নেমপ্লেটে লেখা ‘খান’ পদবী সরিয়ে দিয়েছেন সীমা। তবে এ নিয়ে আপত্তি ছিল ছেলে নির্বাণের। তাই খানের বদলে ‘সীমা-নির্বাণ-ইউহান’ এই তিনটি নাম একসঙ্গে লিখে দরজায় লাগিয়েছেন সীমা।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, সীমার ফ্ল্যাটে সোহেল খানের নাম স্বাভাবিকভাবে নেই। এমনকি কারোর নামের সঙ্গেও খান পদবী লাগানো নেই।
এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সীমার ছেলে নির্বাণ বলেন, আমাদের চারজনের পরিবার। পদবী বাদ দেওয়ার অর্থ একজন মানুষকে বাদ দিয়ে দেওয়া। আমার মনে হয় এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। এটার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। কারণ দিনের শেষে তুমিও খান আমরাও খান।
Advertisement
এর উত্তরে ছেলেকে সীমা বলেছিলেন, আমি এখন এদিকওদিক কোনো দিকেই নেই। তোমাদের নামের শেষে যে পদবী আছে, সেটা আমার নেই। আমি পদবী বিষয়টা পছন্দ করি না।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন বিয়ে করি, তখন ভেবেছিলাম সারা জীবনের জন্য করেছি। কিন্তু এখন মনে হয় অভিভাবক হিসেবে সুখী হওয়াটা বেশি প্রয়োজন। সোহেল আমার দুই সন্তানের বাবা, এটা কেউ বদলাতে পারবে না। এই সম্পর্কগুলো বদলানো যায় না। তবে আমার আপসোস যে সন্তানদের থেকে পরিবার কেড়ে নিয়েছি। এজন্য নিজের মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করে।
১৯৯৮ সালে সোহেল খানের সঙ্গে বিয়ে হয় সীমার। সংসার জীবন ভালোই চলছিল তাদের। কিন্তু অভিনেত্রী হুমা কুরেশির সঙ্গে সোহেলের সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে তাদের দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় অশান্তি। যা শেষপর্যন্ত বিচ্ছেদে গড়ায়।
জেডএইচ/এমএস
Advertisement