নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও নিরাপদ খাদ্য বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রতিদিন বিষই খাচ্ছি। কিন্তু প্রতিবাদ করছি না। আমরা খুব বেশি সহ্য করি।
Advertisement
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিমতলী এলাকায় কৃষকের বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিসংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে এই বাজার চালু করা হয়।
প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে বক্তাবলী ইউনিয়ন থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাই করা ১০ জন নিরাপদ চাষি তাদের উৎপাদিত সবজি এবং ফলমূল এ বাজারে বিক্রি করবেন।
Advertisement
এ সময় মেয়র আইভী বলেন, ‘আমরা কী খাচ্ছি সে বিষয়ে কিন্তু কারও নজর নেই। রেস্টুরেন্টে বলেন, বাজারে বলেন আবার ওষুধের ক্ষেত্রে বলেন। এখন ওষুধের ভেতর আটা-ময়দা মিক্স করে বিক্রি করছে। প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে প্রচুর নকল জিনিস আমরা খাচ্ছি। আমি ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার। পৃথিবীর অনেক দেশ রয়েছে যেখানে খাদ্যে ভেজাল করলে ফাঁসির দণ্ড। মার্ডার করলে সেখানে কম শাস্তির বিধান কিন্তু খাদ্যে ভেজাল করলে ফাঁসি। কারণ এই খাবারে ভেজালের মাধ্যমে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে খাবারে ভেজাল করলে ফাঁসির দণ্ডের বিধান। আমাদেরতো প্রতিটি খাবারেই ভেজাল।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকের বাজারে সরাসরি কৃষক কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এতে ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে, কৃষক পণ্যের সঠিকমূল্য পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মো. তাজুল ইসলাম, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের ফুড সিস্টেম পলিসি ইকোনমিস্ট পেদ্রো আন্দ্রেস গার্জন ডেলভো ও ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টর পরিচালক গাউস পিয়ারী ও সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এসআর/এএসএম
Advertisement