একুশে বইমেলা

‘তুমি আছো নিরবে’

পরনে হালকা রংয়ের (অপ হোয়াইট) সাদা শাড়ি। শাড়ির ওপরভাগ কালো চাদরে ঢাকা। চোখে চশমা। চশমরা ভিতর দিয়েই চোখ দুটি স্বজন হারানোর বেদনার কথা জানান দিচ্ছে। নতুই বই তুলে দিচ্ছেন পাঠকের হাতে। তাতেও হাসি নেই। বদনের মলিনতা বলে দিচ্ছে তার সমস্ত সুখ যেন উবে গেছে। বলা হচ্ছে জাগৃতির প্রকাশক নিহত ফয়সাল আরেফিন দীপনের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমানের কথা। ডা. রাজিয়া রহমান মেলার শুরু থেকেই স্টলে বসছেন। রোজ কালো চাদর গায়ে জড়িয়ে আসেন। কালো চাদরেই প্রকাশ করছেন দীপন হারানোর শোক। চাদরের ওপরে গোলাকার কালো রংয়ের একটি ব্যাচ লাগানো। ব্যাচের মধ্যখানে দীপনের হাসিমাখা ছোট্ট একখানা মুখের ছবি। তাতে লেখা ‘তুমি আছে নিরবে’। জাগৃতির স্টলে যারা কাজ করছেন, তাদের সবার বুকের ওপরেই ওই ব্যাচটি লাগিয়ে রেখেছেন। স্টলের ওপরে কালো নাম ফলক। তাতেও দীপনের হাসিমাখা মুখ। লেখা ‘সবার মাঝে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।      স্টলের সামনে দাঁড়িয়েই কথা হয়, ডা. রাজিয়া রহমানের সঙ্গে। বলছিলেন, ‘ও নেই। কিন্তু ওর সৃষ্টি বইয়ের মাঝেই ওকে খুঁজে পাই। দীপন আমাদের মাঝেই আছে। নিরবে নিভৃতে আমাদের মাঝে ঘুরে ফিরছেন।’শুক্রবার বইয়ের বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার ১৫ থেকে ১৭ টি নতুন বই আনা হচ্ছে জাগৃতির পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বই মেলায় এসেছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ। দীপনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এমন শোক যেন কাউকে পোহাতে না হয়। জীবনের এমন সময়ে ওকে হারাতে হবে, তা কখনও ভাবিনি।   এসআর/ এএসএস/এমএম/এএইচ/এমএস

Advertisement