জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ এবং ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বিশেষ অতিথি এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই শোকসভা আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও জাপান দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। জাপান তথা বিশ্ববাসীর প্রিয় এই নেতা আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ মর্মাহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ ও পারস্পরিক রাষ্ট্রীয় সফরের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
Advertisement
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিনজো আবের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি শুধু জাপানের জনপ্রিয় নেতাই নন, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এক নির্ভরশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এবং শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানের সহযোগিতায় চলমান কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই শোকসভা আয়োজন করায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন বক্তব্য রাখেন।
আল-সাদী ভূঁইয়া/কেএসআর/জেআইএম
Advertisement