রানে ফেরার জন্য লম্বা একটি বিরতি নিয়েছিলেন। এমনকি দুশ্চিন্তা আর বিষন্নতায় এতটাই অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে, একমাস নাকি ব্যাটও ছুঁয়ে দেখেননি বিরাট কোহলি। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এশিয়া কাপে ফেরার পর সবারই ধারণা ছিল কোহলি এবার রানে ফিরবেন।
Advertisement
পাকিস্তানের বিপক্ষেই ফিরেছিলেন রানে। সেদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। যদিও ইনিংসটি ছিল ৩৫ রানের। এবার তিনি আর ৩০-৪০ এর ঘরে আটকে থাকলেন না। দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন।
ক্যারিয়ারে ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি করার পথে খেলেছেন ৪০ বল। দুটি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। বাউন্ডারি ছিল মাত্র একটি। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সমান হাফসেঞ্চুরি করলেন কোহলি।
এবারের এশিয়া কাপে কোহলির ব্যাটেই এলো প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। যদিও তালিকায় সঙ্গী পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। জুটি বেধে যার সাথে ব্যাট করছিলেন সেই সুর্যকুমার যাদবও তার পরপরই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোহলি ৪৪ বলে ৫৯ এবং সুর্যকুমার ২৬ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। সুর্যকুমারের সঙ্গে গড়েন ৪২ বলে ৯৮ রানের জুটি।
Advertisement
সেঞ্চুরির দেখা নেই ৩ বছর প্রায়। মাঝে-মধ্যে দু’একটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও সেটা আসছিল খুব কালে-ভদ্রে। আইপিএলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন সর্বশেষ। এরপর ১০ ইনিংস কোহলির ব্যাটে কোনো হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না। অবশেষে স্বস্তির দেখা মিল হংকংয়ের বিপক্ষে।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে রোহিত শর্মার বিদায়ের পর উইকেটে যান কোহলি। শুরুতে দেখেশুনে খেলে গড়তে থাকেন ইনিংস। একটা সময় ১৮ বলে ১৫ রান ছিল তার। এরপর দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন।
মোহাম্মদ গজনফারকে ছক্কায় ওড়ানোর পর মিডউইকেট দিয়ে আইজাজ খানকে মারেন আরেকটি। উনবিংশ ওভারের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে ৪০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন কোহলি।
আইএইচএস/
Advertisement