গ্রিসের এথেন্সে স্বামীকে তালাক না দেওয়ায় খুন করা হয়েছে বাংলাদেশি নারী রুনা আক্তারকে। রুনার কথিত প্রেমিক অভিযুক্ত বাংলাদেশি যুবক শান্ত (৪০) পুলিশের কাছে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন।
Advertisement
শান্ত পুলিশকে জানান, ৩৬ বছর বয়সী ওই নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে তার পূর্ববিরোধ ছিল। ওই নারী ও তিনি এথেন্সের একটি ক্লিনিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীর স্বামী দীর্ঘদিন বেকার ছিলেন। সেসময় তার কাছ থেকে কয়েক মাসে ২০ হাজার ইউরো ধার নেন ওই দম্পতি।
অভিযুক্ত যুবক আরও দাবি করেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন রুনা আক্তার। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি রাখেননি। সম্পর্কের অগ্রগতি না দেখে গত রোববার রুনার সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করতে চান শান্ত। এর আগেই এথেন্সের ওমোনিয়ার একটি দোকান থেকে ছুরি কেনেন। রুনার সঙ্গে দেখা করার সময় সেটি কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন। ওইদিন বিকেলে রুনার বাসার নিচে গিয়ে জরুরি কথা বলার জন্য তাকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেন।
রুনা নিচে আসলে তার কাছে জানতে চান স্বামীকে তালাক দেবে কি না। এ সময় রুনা তাকে তাদের জীবন থেকে সরে যেতে বলেন। তখন শান্ত তার পাওয়া টাকা ফেরত চাইলে রুনা তা অস্বীকার করেন। এরপর শান্ত তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
Advertisement
এ নিয়ে গ্রিসের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে। গণমাধ্যমগুলো জানায়, বাংলাদেশি ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করার পর আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা পুলিশকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানান, অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তার শরীরে একাধিক আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, এতে তার মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ প্রযুক্তির সাহায্যে থিরাস স্ট্রিটের কাছাকাছি একটি স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
নিহত রুনার বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলার বান্দার কলা বাগ এলাকায়। তবে শান্তর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
Advertisement
এ বিষয়ে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। তবে শান্তর তথ্য জানাতে পারেননি তারা।
ইএ/জেআইএম