দেশজুড়ে

১৪৪ ধারা জারি, থমথমে চৌমুহনী

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভায় একইস্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জারি করা ১৪৪ ধারা বজায় রাখতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। নিষিদ্ধ করা হয়েছে গণজামায়েত। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Advertisement

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ আইন জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুন নাহার।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছ, ১৪৪ ধারা জারির কারণে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে কার্যত অঘোষিত হরতাল চলছে। এতে চৌমুহনী বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বাজারে সাধারণ লোকজনের উপস্থিতি অনেক কম। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুন নাহার জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার বিকেলে একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করায় চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় জনসাধারণের জানমাল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় কোথাও কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত করা যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব জাগো নিউজকে বলেন, ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখতে চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় ২৫০ জন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তৎপর রয়েছে। কোথাও যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে বেগমগঞ্জ স্টেডিয়াম মাঠে আজ (বুধবার) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় এবং একইস্থানে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও তাদের সমাবেশ ঘোষণা করেন।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সরকারি সম্পদ রক্ষা, জানমালের নিরাপত্তা এবং শান্তি-শৃঙ্খলার স্বার্থে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এতে পৌর এলাকায় ব্যক্তি, সংগঠন, রাজনৈতিক দল, গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রা, যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পৌর শহরে চারজনের বেশি লোক জমায়েত না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এমএস