মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
Advertisement
৩১ আগস্ট ২০২২, বুধবার। ১৬ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা১৮৪৮- সংবাদপত্রে প্রথমবারের মতো আবহাওয়া বার্তা ছাপা শুরু হয়।১৮৫৮- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।১৯০৫- বঙ্গভঙ্গ বিল পাস হয়।১৯৫৯- কলকাতায় খাদ্যের দাবিতে কৃষক মিছিলে ভারতের কংগ্রেস সরকারের গুলিতে ৮০ জন নিহত।১৯৭৫- গণচীন বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জন্ম১৮৭০- ইতালীয় চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ মারিয়া মন্টেসরি।১৮৮৮- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত।১৯১৯- ভারতীয় কবি ও লেখক অমৃতা প্রীতম। পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কর্তার সিং হিতকরি ব্রজ ভাষার একজন পণ্ডিত, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিখ ধর্মের একজন প্রচারক ছিলেন। রোমান্টিক কবি হিসেবে লেখালেখি শুরু করেন। ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তের উভয় দিকের মানুষেরই প্রিয়পাত্র ছিলেন। ছয় দশকের দীর্ঘ সময় ধরে কবিতা, কল্পকাহিনি, জীবনী, প্রবন্ধ, লোক সংগীত প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ২০০টি গ্রন্থ রচনা করেন। যা বিভিন্ন ভারতীয় ও বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়। ঔপন্যাসিক হিসেবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হলো পিঞ্জর নামক একটি বিখ্যাত উপন্যাস। ২০০৩ সালে এই উপন্যাস থেকে পিঞ্জর নামক একটি হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ১৯৫৬ সালে সুনেহে নামক দীর্ঘ কবিতার জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি তার কাগজ তে ক্যানভাস উপন্যাসের জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার জয় করেন। ১৯৬৯ সালে পদ্মশ্রী ও ২০০৪ সালে পদ্মবিভূষণ ও সাহিত্য অকাদেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০০৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।১৯৪৯- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী এইচ ডেভিড পলিতজার।১৯৬৩- বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ। কলকাতায় তার জন্ম। সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুলে পড়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেন। তার পরিচালনায় প্রথম ছবি হিরের আংটি ১৯৯২ সালে মুক্তি পায়। ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ছবি উনিশে এপ্রিল মুক্তি পায়। ১৯৯৫ সালে এই ছবি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পায়। এরপর দহন মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। ২০০৪ সালে তার প্রথম হিন্দি ছবি রেনকোট মুক্তি পায়। এর পাশাপাশি বাংলা ফিল্ম ম্যাগাজিন আনন্দলোক সম্পাদনা করেন ১৯৯৭-২০০৪ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের অনুরাগী। দুই দশকের কর্মজীবনে তিনি ১২টি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৩০ মে কলকাতায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।
Advertisement
মৃত্যু১৮৬৭- ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ার।১৯৭১- খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি কৃষি বিজ্ঞানী বশীশ্বর সেন।১৯৭১- ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রিকেটার বীর বিক্রম আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল।১৯৮৫- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ম্যাকফারলেন বার্নেট।১৯৯৭- যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন যুবরাজ্ঞী প্রিন্সেস ডায়ানা।
কেএসকে/এমএস