আইন-আদালত

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইওর) জেরার কার্যক্রম শেষ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। পরে মামলার কার্যক্রম আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচার চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের অস্থায়ী আদালতে। মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী মামলার আইও হারুন-অর-রশিদকে খালেদা জিয়ার পক্ষে চতুর্থ দিনের মতো জেরা করছেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার অনুপস্থিতির জন্য আবেদন জানান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। আদালত খালেদার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় আরো ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা হয়েছে।মামলার কার্যক্রম মুলতবি করার আগে আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে সাক্ষীকে জেরা শুরু করেছেন আমিনুল ইসলাম। আগামী ধার্য তারিখে অসমাপ্ত জেরাসহ অন্য আসামিদের পক্ষে জেরা করবেন আসামিপক্ষ। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাষ্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।এফএইচ/জেএইচ

Advertisement