দেশজুড়ে

পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা: নাশকতা ঠেকাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে সংসদ সদস্য

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই সময়ে একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর পর নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করেছে উপজেলা বিএনপি। তবে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নাশকতা ঠেকাতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সকাল থেকে মাঠে আছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম।

Advertisement

এছাড়া ১৪৪ ধারার আওতাভুক্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমার নেতৃত্বে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহল।

জানা যায়, রোববার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পেকুয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। একই সময়ে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ২১ আগস্টের বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। এ নিয়ে দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রোববার ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পেকুয়া স্টেডিয়াম থেকে পেকুয়া চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া বাজার ও পরিষদ এলাকায় সভা সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, পেকুয়ায় গণজমায়েত ও বিশাল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে পাড়ামহল্লায় প্রস্তুতি সভা করা হয়। আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে অকস্মাৎ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। এতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে আমাদের কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি।

Advertisement

এদিকে, রোববার সকাল থেকে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান নেন। মগনামার কাটাফাঁড়ি সেতু এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল এনামের নেতৃত্বে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খাইরুল এনাম বলেন, সকাল থেকে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে নেতাকর্মীরা কাটাফাঁড়ি সেতু এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। অটোরিকশায় থাকা একজন যাত্রী আমাদের অবস্থানের ভিডিওচিত্র ধারণ করছিল। এসময় দলের কিছু নেতাকর্মী উত্তেজিত হয়ে ওই অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে। তবে অটোরিকশা চালককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, আমাদের কর্মসূচির স্থলে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকার কারণে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এতে আমাদের নেতাকর্মী কিংবা বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে অরাজক কোনো পরিস্থিতি করতে না পারে সে দায়বোধ থেকে এলাকায় অবস্থান করেছি।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ১৪৪ ধারা চলছে। ১৪৪ ধারার আওতাভুক্ত এলাকার কোথাও মিছিল সমাবেশ হয়নি। পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/এমআরআর