কক্সবাজারে ২৭ বছর আগে এসিড নিক্ষেপে কিশোরীর মুখমণ্ডল ঝলসে দেওয়ার অপরাধে এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ওই রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম (৫৫) চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাতারবাড়ি পাড়ার আকবর আহমেদের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালামের দুই ভাই শাহাবুদ্দিন ও নূর কালাম, একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে কবির আহমেদ এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাইজান গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ মদন মিয়ার ছেলে ইউনুছ।
Advertisement
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ২৮ জুলাই সকালে মাতারবাড়ি পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলমের মেয়ে হাসিনা বেগম (১৬) ও তার দুই চাচাত ভাই বসতবাড়ির ভেতরে লেখাপড়া করছিল। হঠাৎ আবুল কালাম ও তার চার সঙ্গী হাসিনার কক্ষে ডুকে। অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে আবুল তার হাতে থাকা দুই বোতল এসিড হাসিনার মুখে নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ আগস্ট চকরিয়া থানায় মামলা করেন হাসিনা বেগম।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সোলতানুল আলম বলেন, ১৯৯৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পাঁচজনের বিরুদ্ধেই চার্জ গঠন হয়। দীর্ঘ ২৭ বছর পর সেই মামলার রায় হলো বৃহস্পতিবার। এতে একজনের ১০ বছরের সাজা। আদালত মনে করেছেন শুধুমাত্র এসিড নিক্ষেপকারীর সাজা হওয়ার দরকার তাই বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।
হাসিনা বেগমের বরাত দিয়ে এ আইনজীবী আরও বলেন, ঘটনার সময় বাদী কিশোরী ছিলেন, রায় পেলেন যখন তার চুলে পাক ধরেছে। তিনি বিষয়টি আদালতকেও জানিয়েছিলেন। এমন চাঞ্চল্যকর ও বর্বর ঘটনায় মামলার রায় দ্রুত সময়ে হলে সমাজে অপরাধ কমতো। এত দীর্ঘ সময় পর অপরাধের সাজা কোনো ধরনের কৌতূহল জন্ম দেওয়াতে পারেনি।
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/জিকেএস
Advertisement