১৯৯৬ ও ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। আহসানুল হক বলেন, ছিয়ানব্বই সালের কেলেঙ্কারির তদন্ত সম্পর্কে পুরোপুরি বলতে পারবো না, তবে ২০১০ সালের তদন্ত প্রতিবেদন তথ্য-উপাত্তভিত্তিক ছিল না। আইন অমান্য করে কে কোন ধরনের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিল তা সুনির্দিষ্ট ছিল না। আইনের কোন বিষয় লংঘন হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্টে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার ডিএসই-এর ব্রোকার্স ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভালো কোম্পানির শেয়ারগুলো অতি মূল্যায়িত হয়েছে বলে শেয়ারবাজার নেতিবাচক ধারায় গিয়েছে। কোম্পানির আয় ভালো হলে বাজারে বিনিয়োগকারী আসে। কোম্পানিগুলোকে লাভজনক করতে হবে। তাদের পরিবেশ দিতে হবে ভালো করার জন্য।প্রতিবেদন দাখিলের দীর্ঘদিন পর এসে এসব অভিযোগের কথা জানালো ডিবিএ। ডিবিএ-এর সভাপতির মতে, রেগুলেটরিতে যারা রয়েছেন, তারা আইন-কানুনে সহযোগিতা করেন। কিন্তু বাজার উন্নয়নে কাজ করে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। কোম্পানিগুলোর পারফরমেন্স ভালো হলে বাজার ভালো হবে। সরকার বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জের প্রচেষ্টায় বাজার যখন স্থিতিশীল হতে যাচ্ছিল, তখনই ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্তের কারণে তিতাসের শেয়ারের দামে ব্যাপক পতন হয় বলেও অভিযোগ তোলেন ডিবিএ সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু। টিটুর মতে, এর নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র বাজারে পড়ে।তিনি বলেন, ‘এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের এই ট্যারিফ সিদ্ধান্তের কারণেই সাতটি সরকারি কোম্পানির শেয়ারের ব্যাপক দরপতন ঘটে; যার প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়ে। ধারাবাহিক পতন হয় শেয়ারবাজারে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ সাদেক, মিনহাজ মান্নান ইমন, শাহেদ আব্দুল খালেক, খুজিস্তা নুর-ই নাহরিন উপস্থিত ছিলেন।এসআই/এনএফ/পিআর
Advertisement