ধর্ম

নামাজের জামাত ছেড়ে দেওয়ার ক্ষতি

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ার জীবনে কখনও জামাত ত্যাগ করেননি। কিন্তু জামাতে নামাজ না পড়ার কারণে মানুষ কল্যাণ, হেকমত ও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ থেকে বঞ্চিত হয়। নামাজ জামাআতেই আদায় করতে হবে। কেননা নামাজের জামাত ছেড়ে দেওয়ার ক্ষতি অনেক বেশি। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি হাদিস তুলে ধরা হলো-

Advertisement

১. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘হে মুসলমানগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য সুনানে হুদা বা হেদায়াতের পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে মসজিদে আদায় করাই হচ্ছে সুনানে হুদা। তোমরা যদি তোমাদের ঘরে নামাজ আদায় করা শুরু কর, যেমন অমুক ব্যক্তি জামাত ছেড়ে ঘরে নামাজ আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা নবির সুন্নাত ছেড়ে দাও, তাহলে হেদায়াতের পথ থেকেও তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়বে। (মুসলিম, মিশকাত)

২. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আজান শোনার পর জামাতে নামাজ পড়তে (মসজিদে) উপস্থিত না হয় এবং তার না আসার কোনো ওজরও নেই, এমতাবস্থায় তার সে নামাজ কবুল হবে না, যা সে একাকি পড়ে। এক সাহাবি জানতে চাইলেন, ওজর বলতে কি বোঝায়? উত্তরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ভয় অথবা অসুস্থতা। (আবু দাউদ)

উল্লেখিত হাদিস দুটি থেকে বুঝা যায়, জামাতে নামাজ পড়ার উপকারিতা যেমন বেশি। তেমনি জামাতে নামাজ না পড়ার ক্ষতিও অনেক বেশি। আর তাহলো, একদিকে জামাত তরককারী ব্যক্তি হেদায়াতের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া আর তার নামাজও কবুল হবে না।

Advertisement

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিয়মিত জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা। জামাত তরকের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে জামাতে নামাজ পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা।

আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। জামাত তরকের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

Advertisement