অবশেষে সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলো অনুব্রত মণ্ডলের। তবে এখনই জামিন পাচ্ছেন না গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার (২৪ আগস্ট) আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Advertisement
অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ হতে পারেন ভেবে আগেভাগেই আদালত কক্ষে মজুত করে রাখা হয়েছিল ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলাইজার। যদিও তা কাজে লাগেনি। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। বার দশেক তলব করা হলেও, মাত্র একবারই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। পরে বাড়ি ঘিরে রেখে ঘর থেকে তাকে তুলে আনে সিবিআই। তারপর থেকে এই পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন অনুব্রত।
বুধবার তাকে ফের তোলা হয় আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। সেখানেই হয় শুনানি। এদিন অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। বলেন, দরকার হলে বীরভূমে থাকবো না। নিজাম প্যালেসের পাশে বাড়ি করে থাকবো। বীরভূমের ১০০ মিটারের মধ্যে ঢুকবো না। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের স্লিপ অ্যাপনিয়া রয়েছে।
এই রোগে কারোর প্রাণ পর্যন্ত যেতে পারে। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক। অনুব্রতর জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন, এখন তদন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। এখন অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
Advertisement
সরকারি আইনজীবী বলেন, একজন সাধারণ মানুষ পদমর্যাদা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। উনি সেই এলাকার জেলা সভাপতি যেখানে গরু পাচার চক্র চলছে। নিজের পদ ব্যবহার করে তিনি পাচারের পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছিলেন।
সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, পশুরহাট থেকে গরুপাচার হতো। তার প্রমাণও আছে। বিএসএফও এর সঙ্গে জড়িত। দুপক্ষের জবাব শোনার পরে বিচারক অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে রাখা হচ্ছে আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন অনুব্রতর সাবেক দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও।
এমএসএম/এমএস
Advertisement