অষ্টম পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করা ও পদমর্যাদা রক্ষার দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি স্থগিতের কর্মসূচি ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন সম্মানজনক সমাধানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ।বৃহস্পতিবার দুপর সোয়া ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন সভাপতি ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে সকাল ১১টা থেকে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ।অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, আজকের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পযন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। ওই দিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে স্থগিত কর্মসূচি বিষয়ের আমরা পর্যালোচনা করবো। যদি সম্মানজনক নিষ্পত্তি হয়, তবে সরকার পক্ষ থেকে শুরু করে সকলকে ধন্যবাদ জানাবো, আর যদি সম্মানজনক নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করবো।তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা কতটুক অগ্রসর হয়েছি তা উপস্থিত ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে ফেডারেশনের সঙ্গে সরকারের চার জন উচ্চপদস্থ সচিবের সঙ্গে আমাদের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এই আলোচনা শেষে আমাদের যে উপলদ্ধি, আমরা সম্মানজনক সমাধানের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, সেটা নির্ভর করে আমলাদের মধ্যে থেকেও যারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা অংশগ্রহণ করেছেন, তারা কতটুকু নিষ্পত্তি করতে চান। তাদের মন মানসিকতার উপর সে নিষ্পত্তি নির্ভর করে। আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা আমরা প্রদান করেছি।প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে অবগত রয়েছেন উল্লেখ করে এ শিক্ষক নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে দ্বি-দফা আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয় কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা ৭ ফেব্রুয়ারি এগিয়ে আসে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ অবগত আছেন। তাই আমরা মনে করি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের শিক্ষকদের দাবি দাওয়ার পূরণ হয়ে যাবে।সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সময়ের মধ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছি। আলোচনা এগোচ্ছে, সামনের দিকে যাচ্ছে। উনারা বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন সমাধান আমরা পাইনি। সমাধানে পৌঁছতে পারবো বলে আমরা আশা করি। আমাদের সাথে আলোচনা ছাড়াও উনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সাথেও আলোচনা করেছেন।
Advertisement
এআরএস/আরআইপি