খেলাধুলা

সোহানের কণ্ঠে এশিয়া কাপ খেলতে না পারার চরম আক্ষেপ

এশিয়া কাপ খেলার আশা ছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাতের আঙ্গুল ফ্র্যাকশ্চার হওয়ার পর দেশে ফিরে এমন আশাই করেছিলেন নুরুল হাসান সোহান।

Advertisement

বলেছিলেন, আশা করছি এশিয়া কাপ দিয়েই আবার মাঠে ফিরবো। কিন্তু হায়, সে আশা পূরণ হচ্ছে না। তার ফ্র্যাকশ্চার হওয়া আঙ্গুল এখনো পুরোপুরি ভাল হয়নি। গতকাল সোমবার এক্স-রে করার পর ডাক্তাররা বলেছেন মাঠে ফিরতে ফিরতে আরও দুই সপ্তাহ লেগে যাবে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হয়ে যাবার মত খবর। সোহান ভক্ত ও বাংলাদেশের সমর্থক অনুরাগী সবাই হতাশ। তার অগ্রজ সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে সিনিয়র সদস্য মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ আর সহযোগিরা সবাই এশিয়া কাপ খেলতে দুবাই গেল আজ বিকেলে।

সোহানের কেমন লাগছে? সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপে সোহানের আক্ষেপ। কি বলবো, কতটা খারাপ লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না। খারাপ লাগার মাত্রাটা কত প্রবল? সেটা জানিয়েছেন সোহান নিজেই।

Advertisement

জাগোনিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সোহান বলেন, ‘সামর্থ্য যাই থাকুক, মাঠে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেয়ার মানসিকতা আমার ছেলেবেলা থেকেই। সেই ছেলেবেলায় জ্বর বা হাতে পায়ে ব্যথা কিংবা অন্য কোন কারণে পাড়ার ম্যাচ খেলতে না পারলেও খুব খারাপ লাগতো। খুব ছটফট করতাম। ভাবটা এমন ছিল কি যেন মিস হয়ে গেল।’

‘সেখানে দেশের হয়ে খেলার অবারিত সুযোগ হাতছাড়া। তাও এশিয়া কাপের মত বড় আসর। সত্যি খুব খারাপ লাগছে। আশা ছিল সুস্থ হয়ে এশিয়া কাপ খেলার; কিন্তু কি আর করা? ভাগ্যে নেই। আল্লাহর ইচ্ছে। এখন আশায় আছি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে তিনজাতি আসর খেলার। এরই মধ্যে রানিং আর জিম শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার আগেই আমি নিজের ফিটনেস লেভেলটা ঠিক করে ফেলতে পারবো।’

আপনার হাতের আঙ্গুলের ফ্র্যাকশ্চারের খবর কী? কখন জানলেন এশিয়া কাপ খেলা হচ্ছে না? সোহানের জবাব, ‘আসলে আমি এক্স-রের দুই-তিনদিন আগে থেকেই অনুভব করতে পারছিলাম যে, আমার ফ্র্যাকশ্চার ভাল হয়নি। তারপরে এক্স-রের সময়ও আমি দেখেই বুঝেছিলাম যে ফ্র্যাকশ্চার সারেনি পুরোপুরি। ডাক্তার বলেছেন, সপ্তাহ খানেক পরে হয়তো ব্যান্ডেজ খোলা হবে। আমার আঙ্গুলে বসানো পিন খুলে ফেলা হবে। আশা করছি তার পরের সপ্তাহে মানে এখন থেকে ২ সপ্তাহ পরে ব্যাটিং শুরু করতে পারবো।’

লিটন দাস আর আপনি নেই। ওপরে লিটন আর মাঝখানে ও নিচের দিকে আপনি। দু’জনার অভাব কতটা বোধ হবে? সোহান শুধু লিটন দাসের অভাবটাকেই অনেক বড় করে দেখলেন। নিজের কথা সেভাবে বললেন না। তার ব্যাখ্যা, ‘আসলে লিটন দাসের অভাব অনেকটাই অনুভুত হবে। এ মুহুর্তে সে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ফর্মে ছিল। তার ব্যাটিং এখন দলের অন্যতম নির্ভরতা।’

Advertisement

‘তাই লিটনকে মিস করবে দল। তার শূন্যস্থান পূরণ করা কঠিন হবে। আবার অন্যভাবে যদি বলি তাহলে বলবো, লিটন দাসের জায়গায় যে খেলবে, তার জন্যও একটা বড় সুযোগ নিজেকে মেলে ধরার। আমার অনুপস্থিতি নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না। যারা আছেন, তারা ক্যাপাবল। আশা করছি সমস্যা হবে না ‘

‘আমি রিয়াদ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি, কেন যেন মনে হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপে তিনি আবার জ্বলে উঠতে পারেন।’

সোহানের শেষ কথা, ‘আসলে আমি কায়মনোবাক্যে চাচ্ছি আমাদের দলটা যেন ভাল খেলে। আমরা যেন দল হয়ে খেলতে পারি। সবাই যার যার দায়িত্ব ও কর্তব্যটা ঠিকমত পালন করতে পারে। মুখিয়ে আছি খেলা কবে শুরু হবে? সবার জন্য শুভ কামনা।’

এআরবি/আইএইচএস