জাতীয়

কোথাও জবাবদিহিতা নেই

দেশের কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল। তিনি বলেছেন, যে যেভাবে পারছে করে যাচ্ছে। এতে কার ক্ষতি হচ্ছে, আর কারা লাভবান হচ্ছে তা আমাদের জানতে হবে।বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সনাক-ইয়েস সম্মেলনে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল। জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য-দুর্নীতি রুখবেই- এ স্লোগানকে ধারণ করে চলছে এই সম্মেলন।  টিআইবির প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় ‘জাগ্রত বিবেক, ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন’ শীর্ষক পয়েন্টে প্যানেল আলোচনায় সুলতানা কামাল বলেন, ‘দুর্বলদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হয়রানি এমনকি হত্যা করে সম্পদ গ্রাস করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করছি না। মনে করছি না মানুষ হিসেবে অবশ্যই কোথাও না কোথাও জবাবদিহিতা রয়েছে।’‘আমরা ব্যথিত হই, যাদের এ সব দমন করার দায়িত্ব তারা তা করছেন না। রাষ্ট্রকে ভুললে চলবে না নাগরিকরা রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে যান তারা যেন ভুলে না যান সংবিধান রক্ষাই দায়িত্ব তাদের। গুম, খুন বন্ধে উপযুক্ত উদ্যোগ নেই।’সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় টিআইবির বিরুপ সমালোচনা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সুলতানা কামাল। একইসঙ্গে তিনি বলেন, টিআইবিকে রাজনৈতিকভাবে দেখা হচ্ছে। আইএসের সঙ্গেও টিআইবিকে তুলনা করা হয়েছে। এরমধ্যে দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে বাধা আসবেই।টিআইবির প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দেশের যেকোন অর্জনে তরুণরাই স্বাক্ষর রেখেছে। এ তরুণদের বিবেক জাগ্রত করে ধীরে ধীরে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে। টিআইবি এক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। যারা মনে করে, টিআইবিকে সরকার টাকা দেয়, তাই সরকারের কথা শুনতে হবে, তাদের বলতে চাই, টিআইবি সরকারের টাকায় চলে না।’জেইউ/এনএফ

Advertisement