রাজনীতি

মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক: কাদের

মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক: কাদের

‘জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাসায় কেন হতে পারে না’ এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমি তো বলি, মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক। এটি প্রধানমন্ত্রী করলে, ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন দেবো। মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং হতে পারে। জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে কেন হতে পারে না? যেটা যুক্তিযুক্ত সেটাই আমাদের করা উচিত।’

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সচিবালয় প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবাই একটু বাস্তববাদী হন, কৃচ্ছ্রসাধন করুন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ, অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। যারা অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার করছেন, ফিরিয়ে দেন। অতিরিক্ত তেল যারা ব্যবহার করছেন, আর করবেন না। কৃচ্ছ্রসাধন করুন।’

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দুনিয়ায় আজ এক অস্থিরতা। এটা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে। এ দৃশ্য বাস্তব। এ বাস্তবতার প্রভাব আমরা অস্বীকার করি না। আমাদের নেত্রী বলেছেন মানুষের কষ্ট হচ্ছে। দিন-রাত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাজ করে যাচ্ছেন, পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। একবারও কী ফখরুল মানুষের কথা বলেছেন?’

কাদের বলেন, ‘মানুষের কষ্টের সারথি আওয়ামী লীগ। আমরা মানুষের কথা বলছি। আমরা রাজনীতি করি, এ দেশের মানুষের জন্য। এখানে কোনো কৃত্রিমতা নেই। তাই আজকে সত্যকে সত্য বলবো। আর ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যারা এ দেশে রাজনীতি করি, তাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। কথা কর্তৃত্ব করে, কথা নেতৃত্ব দেয়, আবার কথা সর্বনাশ ডেকে আনে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা সর্বনাশ ডেকে আনে। সবাইকে বলবো- কথাবার্তা বলতে হবে দায়িত্বশীলভাবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন, কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন না। দায়িত্বহীন একটা কথায় দেশের অনেক ক্ষতি হতে পারে, বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই সতর্ক থাকবো।’

শেখ হাসিনাকে নামানোয় ফখরুল সাহেবদের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেন নির্বাচন দরকার নেই, দরকার সরকারের পতন। সেজন্য এখন ষড়যন্ত্র করছেন। শেখ হাসিনাকে কেমন করে নামাবেন, এটা হলো তাদের লক্ষ্য। আমরা আছি কিন্তু। এসেছি রাজপথ থেকে, প্রয়োজনে আবারও যাবো। রাজপথে অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করা হবে। আমরা রাজপথ কাউকে লিজ দেইনি, রাজপথ জনগণের। রাজপথ কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।’

Advertisement

সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম