ঠাকুরগাঁওয়ে পচা আলু ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে আলুর ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ আন্দোলন করেন তারা।
Advertisement
ঠাকুরগাঁও কৃষক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ আন্দোলন হয়। এ সময় যানচলাচল বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এজন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তারা।
পরে সড়ক অবরোধ করার ১৫ মিনিট পর পুলিশের অনুরোধে রাস্তার এক লেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হিমাগার মালিক কর্তৃপক্ষের সিন্ডিকেটের কারণে তাদের অব্যবস্থাপনায় হিমাগারগুলোতে আলু পচে গেছে।
Advertisement
কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকের আলু পচলো কেন, এর জবাব হিমাগার মালিকদের দিতে হবে। সেইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, আলুর ফলন আমাদের মুখে হাসি ফোটালেও হিমাগার মালিকদের গাফিলাতির কারণে আমাদের আলু পচে গেছে। তারা ৩৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনের জন্য ধারণক্ষমতার বাইরে আলু সংরক্ষণ করেছে হিমাগারগুলোতে। এর দায় শুধুই হিমাগার কর্তৃপক্ষের।
আলুচাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ হেলাল বলেন, আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করছে প্রশাসন ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ। আমাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেও কোনো সুরাহা করেননি৷ আমরা কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়েছি। আলু বিক্রি করে ঋণের দেনা শোধ করার কথা। এখন আমাদের কী হবে? আমাদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনে জেলার শত শত কৃষক ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
Advertisement
এদিকে ঠাকুরগাঁও হিমাগার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, হিমাগারে আলু যারা রেখেছেন তাদের সঙ্গে হিমাগার কর্তৃপক্ষের চুক্তির বিষয়। এখানে যদি কোনো অধিকার লঙ্ঘিত হয় সেক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিক বিবেচনায় রেখে উভয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷
তানভীর হাসান তানু/এফএ/জেআইএম