নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কখনো কখনো আমার হৃৎপিন্ডের উপরও আবরণ পড়ে। তাই আমি প্রতিদিন একশত বার ক্ষমা চাই। নবিজি আল্লাহর কাছে এক বসাতেই একশত বার তাওবা করতেন। সেটি কোন তাওবা?
Advertisement
তাওবা মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি সেরা সুসংবাদ। বারবার গুনাহ করে তাওবা করলেই মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেবেন। তাহলে তাওবার চেয়ে বড় নেয়ামত আর কী হতে পারে! হাদিসে পাকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গুনাহ করার পরপরই ক্ষমা চায়, সে বারবার গুনাহকারী গণ্য হবে না। যদিও সে দৈনিক সত্তর বার ঐ পাপে লিপ্ত হয়।’ (তিরমিজি)
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষ্পাপ মাছুম হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন এক বসাতেই একশত বার তাওবা পড়তেন। তিনি যে তাওবাহ পড়তেন তাহলো-
হজরত ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে অবস্থানকালে একই বৈঠকে একশত বার এ দোয়া (তাওবা) পাঠ করেছেন এবং আমরা তা গণনা করেছি। তাহলো-
Advertisement
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়াতুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা করো। আমার তাওবা গ্রহণ করো। নিশ্চয়ই তুমি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
তাওবার আমল মুমিন মুসলমানের জন্য নেয়ামত। এ নেয়ামতের অংশীদার হতে নবিজির শেখানো মতে উল্লেখিত তাওবাটি বেশি বেশি পড়া। হাদিসের ওপর আমল করে নিজেদের গুনাহমুক্ত রাখার চেষ্টা করা।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে এ তাওবাটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম