তার ভাগ্যে কি আছে? তিনি কি টেস্ট আর ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের হেড কোচ থাকবেন? নাকি সেখানেও আর থাকা হবে না! শ্রীধরন শ্রীরামের মত আর কেউ এসে সে সিংহাসনে বসবেন?
Advertisement
এমন সন্দেহ নিশ্চয়ই কুড়ে খেয়েছে তাকে। এ কারণেই হয়তো রোবববার দুপুরে শ্রীধরন শ্রীরাম আসবেন জেনে আর শেরেবাংলামুখো হননি ডোমিঙ্গো। টিম বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নতুন টেকনিক্যাল আ্যাডভাইজার সোজা বিমানবন্দর থেকে হোম অফ ক্রিকেটে প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখতে চলে আসলেও কাল রোববার মাঠেই আসেননি ডোমিঙ্গো। বোঝাই গেল, একটা অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকার ঘিরে ধরেছিল তাকে।
কিন্তু রাতটুকু কাটতেই কেটে গেছে ডোমিঙ্গো ভাগ্যাকাশের কাল মেঘ। আজ দুপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এবং বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন রাসেল ডোমিঙ্গো। মিডিয়ার সামনে ডোমিঙ্গোকে দেখা গেল অনেক নির্ভার, ফুরফুরে।
কারণ শেষ খবর, আপাততঃ টেস্ট আর ওয়ানডে হেড কোচের পদ হারাচ্ছেন না তিনি। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, আজ দুপুরে শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বর অর্থ্যাৎ চুক্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত টেস্ট আর ওয়ানডে দলের হেড কোচ থাকছেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
Advertisement
এ কারণেই সোমবার দুপুরে হাসিমুখ দেখা গেলো ডোমিঙ্গোর। তাকে যে টি-টোয়োন্টি হেড কোচ পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল আডভাইজর নিয়োগ নিয়েও তার কোন আফসোস নেই।
এ প্রোটিয়া কোচ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘নাহ! আমার কোন হতাশা বা দুঃখ নেই। আমি খুবই প্রাণখোলা মানুষ। বেশ উদারভাবেই বিষয়টাকে নিয়েছি। বরং আমার মনে হয়, এটা খুব দারুণ এক কনসেপ্ট। এখন বরং আমি টেস্ট আর ওয়ানডে নিয়ে আরও বেশি সময় দিতে পারবো। মনোযোগ আর মনোসংযোগটাও দেয়া যাবে অনেক বেশি।’
ডোমিঙ্গো যোগ করেন, ‘আমাদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভাল ও মন্দ দুই রকম পারফরমেন্স, ফল আর অভিজ্ঞতাই আছে। তবে এখন যেটা করা হলো, আমার মনে হয় না সেটা খারাপ। তার মাঝেও এটার একটা নতুনত্ব আছে।’
ডোমিঙ্গো মনে করেন, তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব থেকে একটির দায়িত্ব কমে যাওয়ায় তার জন্য অন্য দুই ফরম্যাট নিয়ে চিন্তা করার ও ভাবনার সুযোগ বেশি মিলবে।
Advertisement
তাই মুখে এমন কথা, ‘এখন থেকে টি-টোয়েন্টি দল আর আমার দল না। আমি অন্য দুই ফরম্যাটের দল নিয়েই ভাববো। সব মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবো। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটাও খুব ভাল করে নিতে পারবো। পাশাপাশি টেস্ট দল নিয়ে ভাবার অবকাশও আছে। আমাদের টেস্ট পারফরমেন্স আর ফলও তেমন ভাল না। সেদিকেও নজর দিতে হবে। পাশাপাশি পরিবারকেও সময় দেয়া সম্ভব হবে।’
এআরবি/আইএইচএস