‘হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ নীতিমালার অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে জিঞ্জিরা এলাকার শিল্পগুলো।
Advertisement
সোমবার (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, এটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশে যে হাল্কা প্রকৌশল হবে (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) এটার একটা নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রসার হবে এবং শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি, সেক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা একটা মৌলিক খাত হিসেবে আমাদের দেশে বিবেচিত হবে। যেমন জিঞ্জিরা এলাকায় যে শিল্পগুলো এগুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে। যারা অথেনটিক প্রডিউসার তারা অনেক রকমের ব্যাকআপ পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বিশেষ সুবিধা আছে, যেটা ২ পার্সেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্ট। এ খাতগুলোতে নীতিমালা অনুসরণে বিনিয়োগ করলে তারা সে সুবিধাগুলো পাবে।
তিনি বলেন, ৫০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের, ব্যাংক থেকেও তারা ২ পার্সেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্টে ঋণ নিতে পারবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্যও একটা বিশেষ প্রভিশন আছে। ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো সিকিউরিটি ছাড়া ঋণ নিতে পারে। কিন্তু সেটা বিভিন্ন কারণে এটা বিনিয়োগ হচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক এটাকে প্রমোট করবে, যাতে নারী উদ্যোক্তারাও যেন এ সেক্টরের অধীনে হলে ওটারও বেনিফিট পায়।
এসব শিল্পখাত যদি রপ্তানিমুখি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা আলাদা প্রণোদনা পাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা মন্ত্রিসভা একটা ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছে, যেভাবে আমরা গার্মেন্ট সেক্টরকে ব্যাকআপ করি এসব ক্ষেত্রেও যারা রপ্তানিমুখি হবে তাদেরকে সে সুবিধা দেওয়ার জন্য।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এখানে প্রায় ৪০ হাজার হাল্কা প্রকৌশল শিল্প রয়েছে এবং ৬ লাখ প্রযুক্তিগত দক্ষ এবং উদ্যোক্তা সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। তাদের জন্য এটি প্রণোদনা টাইপের কাজ হবে। তারা কাজের জন্য উৎসাহী হবে।
এমএএস/এসএইচএস/এএসএম