শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সভায় বিবিধ বিষয়ে দুই-তিনটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটা হলো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাটাকে কীভাবে আরও অ্যাফেকটিভ করা যার এর মধ্যেই। ইনস্ট্যান্টলি তো বাড়ানো সম্ভব হবে না। সে জন্য আলোচনা হয়েছে কতগুলো...।
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে, উনিও নির্দেশনা দিয়ে দিচ্ছেন, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
দুদিন কোন কোন দিন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করবেন। এটা ফাইনাল হয়ে গেছে, উনারা আদেশ জারি করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী ২৪ আগস্ট বুধবার থেকে সব সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস, সরকারের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বেসরকারি অফিসের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
Advertisement
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, সব সরকারি অফিসে কোথাও কোনো পর্দা টাঙানো থাকবে না। এগুলো তুলে লাইট যতসম্ভব কম লাগলে যতটুকু চলবে এবং এয়ারকুলারও যথাসম্ভব কম ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিটিংয়ে ছিলেন। উনিও গিয়ে ঘোষণা দিয়ে দিচ্ছেন, ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এসব সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আরেকটা হলো ট্রাফিক জ্যামটাও কমবে।
এসব সিদ্ধান্ত কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় তো হবেই। দেখা যাক, পরবর্তী অবস্থা উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলুক। সাথে সাথে ট্রাফিক জ্যামটাও একটা ডিস্টিবিউট হয়ে যাবে।
আরএমএম/এমএএস/জেএইচ/বিএ/জেআইএম