অর্থনীতি

ডিম ব্যবসায়ীদের আটকে রাখলেন ভোক্তার মহাপরিচালক

দেশের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বৈঠকে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহসহ চারজনকে ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তারা কাগজ দেখাতে না পারায় অধিদপ্তরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হয়। পরবর্তীসময়ে কাগজপত্র দেখানোর প্রতিশ্রুতিতে ডিম ব্যবসায়ীদের ছেড়ে দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

Advertisement

রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সমবায় অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করায় তাদের কাছে বৈধ কাগজ চাওয়া হয়।

সফিকুজ্জামান বলেন, সমবায় সমিতির লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। উনাদের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে, সেগুলো আনলে আমরা বসবো। তারা কীভাবে ডিমের দাম নির্ধারণ করেন সে বিষয়ে তদন্ত করবো।

সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাগো নিউজকে বলেন, তারা বৈধ কাগজপত্রের প্রমাণ দেবে এবং এ বিষয়টি এখন এনএসআইকে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে কোনো সমস্যা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।

Advertisement

সভায় উপস্থিত এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করা যায় কি না? এ জায়গায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে হাত দিতে হবে। সমবায় সমিতি ব্যবসা করতে পারে কি না আমি জানি না। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আশা করি দেখবে। এ ধরনের সমবায় সমিতি, আড়তদাররা কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগী। তারাই কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করছে। তারা ইচ্ছামতো দাম কমায়-বাড়ায়। সরকারের উচিত তাদের আইনের আওতায় আনা।

বৈধ কাগজপত্রের জন্য যাদের বসিয়ে রাখা হয় তারা হলেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ ও সেক্রেটারি হানিফ মিয়া, কাজী ফার্মসের ডিলারের একজন প্রতিনিধি এবং ডিমে অর্গানিক সিল মারার বিষয়ে অভিযুক্ত একজন।

সভা চলাকালে ভোক্তার মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহকে প্রশ্ন করেন, তাদের ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুমতি কোথা থেকে নেওয়া। তিনি জানান, সমবায় সমিতির কাছ থেকে নিয়েছেন। তখন সব কাগজপত্র চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাকে থাকতে বলে অন্য কাউকে দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। সেই সঙ্গে সেক্রেটারিকেও থাকতে বলা হয়।

এছাড়া কাজী ফার্মসের ডিলারের প্রতিনিধিকে দাম নির্ধারণের কাগজপত্র দেখানোর জন্য থাকতে বলা হয়। সিল মেরে অর্গানিক ডিম হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগে একজনকে অর্গানিক ডিমের প্রমাণপত্র দেখানোর জন্য থাকতে বলা হয়।

Advertisement

এনএইচ/এমএইচআর/জিকেএস