অর্থনীতি

রিটার্ন বাধ্যতামূলক করায় কমেছে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু

ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে দেখাতে হচ্ছে টিআইএনের (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) বিপরীতে নিয়মিত আয়কর বিবরণী জমার প্রমাণপত্র। আরও ৩৮ ধরনের সেবার জন্য রয়েছে একই নিয়ম। অনিয়ম পেলে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রেডিট কার্ডের প্রবৃদ্ধির।

Advertisement

ক্রেডিট কার্ড, বৈশ্বিক অস্থিরতা বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ক্যাশলেস সোসাইটি, ডিজিটাল লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক ইসমাইল হোসাইন রাসেল।

জাগো নিউজ: ক্রেডিট কার্ড নিতে আয়কর রিটার্ন জমার তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, এটি কতটা প্রভাব ফেলছে?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আগে ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে টিআইএন সনদ দিতে হতো, এখন কিন্তু সেটা হবে না। বিগত বছর যে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন সে তথ্যও জমা দিতে হবে। বাংলাদেশে ৮৫ লাখ টিন সার্টিফিকেটধারী মানুষের মধ্যে ২৫ লাখ শুধু রিটার্ন দাখিল করেন। সেখানেই তো ৬০ লাখ মানুষ দাখিল করেন না। সুতরাং এই প্রেশারটা দিয়ে ক্রেডিট কার্ডকে ত্বরান্বিত না করে স্লো-ডাউন করা হচ্ছে। এই জায়গায় আমরা সরকারের নজর চাই এবং এরই মধ্যে আমরা মুভ করিয়েছি। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (এবিবি) দাবি জানিয়েছে, বেসিসও করবে শিগগির। এটা আমরা চাই না। আমরা চাই এটি বাতিল করা হোক। টিআইএন সার্টিফিকেট পর্যন্ত থাকুক। কিন্তু আয়কর রিটার্ন দাখিল যেন বাধ্যতামূলক রাখা না হয়। এরই মধ্যে অনেক প্রভাব পড়েছে। নতুন করে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কমে গেছে। যার কাছেই যাচ্ছি সে বলছে টিআইএন সার্টিফিকেট আছে, কিন্তু রিটার্ন দাখিলের ডকুমেন্ট নেই। ৬০ লাখ মানুষের কাছে তো সেটি নেই, এটি বুঝতে হবে।

Advertisement

এই জিনিসটি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কারও সঙ্গে কথা বলা হয়নি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বললে এমন সমস্যা হতো না। এখন কিন্তু এর প্রভাব বোঝা যাচ্ছে। বাজেটের আগে অনেক বড় বড় জিনিস নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলা হলেও এটি নিয়ে কিন্তু কথা বলা হয়নি। এটা অনেকটা হঠাৎ করেই এসেছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর ট্যাক্স বেড়েছে, এখন অ্যাকাউন্টের ওপর আবগারি শুল্ক হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। এগুলোতে প্রভাব পড়ে, কারণ আমি দেখছি ব্যাংকে টাকা রাখলে প্রতি বছর ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা, তাহলে নগদ টাকা বালিশের নিচে রেখে দিলেই তো ভালো। এভাবে তো সিস্টেমে টাকা আসবে না।

জাগো নিউজ: কোভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অস্থিরতা বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: পৃথিবীব্যাপী এটার একটা প্রভাব তো আছেই। বৈদেশিক মুদ্রার যে রেট চেঞ্জ হয়েছে, বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে তাদের দেশীয় মুদ্রা দুর্বল হয়েছে। পাশাপাশি অনেক বেশি মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে, বেড়েছে বসবাসের খরচ। আমরা যে সেক্টরটি নিয়ে কাজ করি সেটি হলো পেমেন্ট সেক্টর। মানুষের যদি কেনার ক্ষমতা না থাকে সে তো কিনবে না। জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্টে আমরা সেই পরিমাণ প্রভাব দেখিনি। যেহেতু জুলাই মাসে ঈদ ছিল, ঈদের সময় একটা বড় অংশ পশু কোরবানি দেয়। সেখানেও আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট খুব বড়ভাবে করেছি। স্মার্ট হাট, স্মার্ট বাংলাদেশ নামের একটি উদ্যোগ আমরা নিয়েছি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে। সেখানে একটি বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে মানুষের কিছুটা শপিং তো ডিজিটালভাবে হয়। এজন্য হয়তো জুলাই মাসে প্রভাবটা দেখিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে ডলারের দামে যে ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দামও বেড়েছে এবং এটাও শোনা যাচ্ছে হয়তোবা বিদ্যুৎ অথবা অন্যান্য সেক্টরে যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটার দামও বাড়বে। এতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে সেটাই স্বাভাবিক। আমরা মনে করি এই যুদ্ধ পরিস্থিতি ও আমাদের মুদ্রাস্ফীতিতে যে প্রভাব পড়েছে তা ক্রয়ক্ষমতায় প্রভাব ফেলবে। আমরা যেহেতু মানুষের ডিজিটাল লেনদেনের একটি পার্ট তাই সার্বিক প্রভাব যেটি পড়বে সেখানে আমরাও প্রভাবিত হবো।

জাগো নিউজ: বর্তমান প্রেক্ষাপটে কীভাবে সাধারণ মানুষের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করা উচিত?

Advertisement

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: ভোক্তা হিসেবে আমার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য আমি নিজেই করবো। এটাও সত্যি আমাদের দেশে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য না করে পরবর্তীসময়ে দেখা যায় তারা ঋণখেলাপি হয়ে যায়। অবশ্যই সবার আয় বুঝে ব্যয় করা উচিত। মানুষ কিন্তু এখন একটু সাশ্রয়ী হচ্ছে। এ ধরনের প্রভাবে একটি ইতিবাচক দিকও থাকে, আমাদের দেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন মানুষ এক্ষেত্রে কিছুটা সাশ্রয়ী হবেন। সাশ্রয়ী হলে কিন্তু সেই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতিতে প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু করোনার সময় বিধিনিষেধের মধ্যেও কিন্তু বাজারে গিয়ে মানুষ কেনাকাটার চেষ্টা করেছে। এটাই দেখার বিষয় জাতি হিসেবে কীভাবে আমরা এটা গ্রহণ করি। তবে এটাতে সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। জুলাই পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট যেটি বলছে এখনো আমরা ঠিক আছি, আগস্টে কী হয় সেটি দেখার বিষয়।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশে ক্যাশলেস ও ডিজিটাল লেনদেনের এখনকার চিত্র কেমন?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বলছি ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবো। স্মার্ট বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রথম এজেন্ডা হচ্ছে ক্যাশলেস সোসাইটি। শুরুতেই এটি হয়তো এতটা সহজ হবে না, ক্যাশ লাইট অথবা লেসক্যাশের দিকে ধাবিত হবো। এই ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার জন্য কিন্তু পেমেন্ট সিস্টেমটাকে উৎসাহিত করা উচিত। এবারের বাজেটে আমাদের টোটাল পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটা অনুরোধ ছিল যে ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে একটি প্রণোদনা দেওয়া হোক। আমরা নির্দিষ্ট করে বলেছিলাম ৫ শতাংশ যাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়, ৩ শতাংশ চলে যাবে ভোক্তা এবং ২ শতাংশ যাবে যিনি ডিজিটাল পেমেন্ট নিচ্ছেন। বাজেটে এ ধরনের কিছু তো আসেইনি বরং আমরা দেখেছি আরও ৩৮টি সার্ভিসের ওপর ট্যাক্স রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী বলা হয়, বাংলাদেশে ৮৫ লাখ টিন সার্টিফিকেটধারী থাকলেও রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২৫ লাখ মানুষ। এখানে বড় একটি গ্যাপ আছে। এই ঘোষণার পর থেকে ব্যাংকগুলোর কার্ড ইস্যু অনেকটা কমে গেছে। ক্রেতার হাতে যদি ডিজিটাল টুলস নাই দিতে পারি তাহলে তারা কিন্তু ডিজিটাল লেনদেনে আসবে না।

বাংলাদেশে ডিজিটালের প্রায় সবগুলো মাধ্যমই ব্যবহার হয়েছে। কার্ড ৩১ বছর ধরে আছে, মোবাইল ব্যাংকিং ভালো করছে। কিউআর পেমেন্ট আসছে শিগগির, আমাদের ডেভিড-ক্রেডিট ও প্রিপেইড সব কার্ডে কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট হচ্ছে। সবকিছু মিলে নতুন প্রযুক্তি কিন্তু সব আছে। এখনও বলা হয়, ডিজিটাল পেমেন্ট করে বাংলাদেশের মোট পেমেন্টে বা ট্রানজেকশনের মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ। এটাকে যদি নেক্সট লেভেলে নিতে হয় প্রণোদনা ছাড়া উপায় নেই। সরকারের অবশ্যই এখানে নজর দেওয়া উচিত। কেননা এই যে ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিটের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে সেটি যদি তুলে না নেন তাহলে ডিজিটাল পেমেন্ট বা ক্যাশলেস সোসাইটিতে বাধা সৃষ্টি করবে।

জাগো নিউজ: ই-কমার্সের ডিজিটাল লেনদেন চলমান বাজার ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: ২০২০ সালে কোভিডের আগে মার্চ মাসে ডিজিটাল কমার্সে ডিজিটাল পেমেন্টের পরিমাণ একমাসে ছিল ২২৫ কোটি টাকা। যেটা গত বছর জুলাইয়ে এসে ১২শ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ গুণ বেড়েছে। গত বছর জুন-জুলাইয়ে একটা বড় বাধা এসেছিল, বিশাল একটা সমস্যা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সেখান থেকে কাটিয়ে উঠে এখন কিন্তু আবার সেটা এক হাজার কোটি টাকার লেভেলে এসেছে। সত্যি কথা বলতে ডিজিটাল পেমেন্ট যে পরিমাণ বেড়েছিল গত বছর জুন-জুলাইয়ে সেটা অনেক অংশে ধাক্কা খেয়েছে ই-কমার্স সেক্টরে সমস্যার কারণে। এখন কিন্তু মানুষ ডিজিটাল পেমেন্ট কম করে ক্যাশ অন ডেলিভারি দিকে যাচ্ছে, নগদ টাকা দিয়ে করছে। কিন্তু এই এক হাজার কোটি টাকার এরই মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা হয়ে যেতে পারতো। আমরা চাচ্ছি ডিজিটাল পেমেন্টের ক্যাশ অন ডেলিভারি কত সহজে করা যায়। সামনে আরও বেশ কিছু টেকনোলজি আসছে যেটার মাধ্যমে ক্যাশ অন ডেলিভারিকে আমরা ডিজিটাল ডেলিভারি করবো। যাতে আমরা আশা করছি কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।

জাগো নিউজ: বাড়তি চার্জসহ নানা অভিযোগ তুলে অনেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেন, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: ক্রেডিট কার্ডে আগে থেকেই যে সমস্যা ছিল সেটি হলো কার্ড নিতে হলে টিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক থাকা। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্যাক্স সাবমিশন ডকুমেন্ট। এখানে রেগুলেটিভ সিস্টেমটা সাপোর্টিভ নয়। বহু মানুষ আছে ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট রাইটলি করে। ক্রেডিট কার্ডের লভ্যাংশ আমাদের বিষয় নয়, এটি ব্যাংকের বিষয়। প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডেরই একটি ইন্টারেস্টের পিরিয়ড থাকে। আপনি যদি রাইটলি ক্যাশটা ম্যানেজ করেন বা সময়মতো টাকাটা দিয়ে দেন তাহলে কিন্তু কোনো লাভ দিতে হবে না। যদি কারও ক্যাপাসিটি ২০ হাজার টাকা হয় কিন্তু তিনি এক লাখ টাকা খরচ করে ফেলেন তখন সেটি তো পাঁচ মাসে দিতে পারবেন না, কারণ তিনি বেতন পান হয়তো ৩০ হাজার টাকা। সমস্যাটা আসলে তখনই হয়। নিজের ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট নিজের হাতে। আপনি ৩৫ হাজার টাকা পান, আপনি নিশ্চয়ই দুই লাখ টাকার লোন নিয়ে আনপ্রোডাকটিভ কিছু করবেন না। দুই লাখ টাকা নিলে যখন চিন্তা করবেন এটা থেকে একটা ইনকাম আসবে এবং সেক্ষেত্রে ৩৫ হাজার টাকা বেতন পেলেও সেটি কিন্তু ম্যাচ করে নেওয়া যাবে। ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট মূলত নিজের ওপর। তবে ডিজিটালে সমস্যা হতেই পারে। ঈদের বোনাসটি হয়তো হয় সাতদিন আগে, কিন্তু শপিং শুরু করি এক মাস আগে। এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার হলে হয়তো সেটি ব্যবহার করি, বোনাসটা পেলে টাকাটা জমা দেই। কিন্তু ডিজিটাল টুল ব্যবহার না করলে হয়তো বাবা-ভাইয়ের থেকে ধার নিয়ে শপিং করে পরে টাকা পেলে আবার দিয়ে দেই।

একজন সাধারণ মানুষ যার হয়তো সে পরিমাণ সেভিংস নেই, তার বিপদে-আপদে কার্ডের একটি ভালো সাপোর্ট হয়। সেদিক থেকে পজিটিভ দিকটাও আছে। কিন্তু ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট বা খরচের বিষয়টি সম্পূর্ণ ক্রেতার নিজের দায়িত্বের মধ্যে পড়বে। তাই কোনো প্রকার দ্বিধা না রেখে ডিজিটাল এরিয়াতে আসুন। এটি অনেক সিকিউরড ক্যাশের তুলনায়। কারণ নগদ টাকা বহন করলে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু ডিজিটাল থাকলে এটি ঘটার সম্ভবনা অনেক কম।

জাগো নিউজ: দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা পর্যাপ্ত কি না? ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: দেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চার কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারী আছেন। সেক্ষেত্রে এ মুহূর্তে ডেভিড কার্ড মানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যেটি থাকে, সেটি কিন্তু দেড় কোটি। তার এখানে আড়াই কোটি মানুষের একটি গ্যাপ আছে। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে আট কোটির ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নেই। আমরা এখনো এই জায়গাটিতে একটু পিছিয়ে আছি। আরেকটি কার্ড ভালো করছে, সেটি হলো প্রিপেইড কার্ড। যাদের ডেভিড বা ক্রেডিট কার্ড নেই, তারা কিন্তু একটি প্রিপেইড কার্ড নিতে পারেন। আমরা দেখছি তরুণ সমাজের যাদের ডেভিড বা ক্রেডিট কার্ড নেই অথবা অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ নেই তারা কিন্তু প্রিপেইড কার্ড নিয়ে ডিজিটালি যুক্ত হচ্ছেন। ভবিষ্যৎ এদিকেই যাবে। ডেভিড-ক্রেডিট কার্ডের বাইরে প্রিপেইড কার্ড বড় ভূমিকা রাখবে। কিউআর পেমেন্ট বড় ভূমিকা রাখবে। আমরা মনে করি অনলাইন পেমেন্ট বড় ভূমিকা রাখবে।

আইএইচআর/এএসএ/এমএস