দেশজুড়ে

আন্দোলন চালিয়ে যাবেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরাও

প্রত্যাহারের তিন ঘণ্টা পর মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিক নেতারা। তাদের সমর্থন জানিয়ে কর্মবিরতিসহ বিভ্ন্নি কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকরা।

Advertisement

রোববার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে জেলার লংলা ভ‍্যালির রাজনগর উপজেলার ইটা চা বাগানের শ্রমিকরা স্বল্প পরিসরে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। তবে বেশিরভাগ চা বাগানে আজ সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অন্দোলনে দেখা যায়নি শ্রমিকদের।

রাজনগর উপজেলার নারী চা শ্রমিক বলেন, ‘দ্রব‍্যমূল্যের সঙ্গে মিল রেখে সম্মানজনক মজুরি দিতে হবে আমাদের।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া বাগানের চা শ্রমিক রাজন হাজরা বলেন, ‘আমরা রুটি-রুজির সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’

Advertisement

শ্রীমঙ্গল বালিসিড়া ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা জাগো নিউজকে বলেন, ‘১৪৫ টাকা মজুরির বিষয়টি নিয়ে যখন ভ্যালির সব নেতাদের সঙ্গে আলাপ করি তখন তারা এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিপেন পালকে জানাই। তিনি শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে একমত হয়ে আবার ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় অনেক বাগানের শ্রমিকরা মাঠে না নামতেও পারে।’

মৌলভীবাজার কুলাউড়া লংলা ভ্যালির সভাপতি শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চা শ্রমিক ইউনিয়নের সব ভ্যালির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সবাই আমাদের সবাই একমত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।’

চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছিল। ধর্মঘটের ১১তম দিনে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবদুস শহীদ , মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসি। এ বৈঠকে চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে সরকারের এ প্রস্তাব শ্রমিকেরা মেনে নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে শনিবার রাতে সিদ্ধান্ত উল্টে যায়। ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বিভিন্ন চা-বাগান থেকে পঞ্চায়েত কমিটি ও ভ্যালি কমিটির নেতারা আমাদের ফোন দিয়ে জানান ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে নেবেন না তারা। এমনটা জানিয়ে শ্রমিকেরা বাগানে বাগানে আবার আন্দোলন শুরু করেছেন। শ্রমিকেরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমরা শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’

Advertisement

আব্দুল আজিজ/এসজে/জেআইএম