উপমহাদেশের উইকেটগুলো বরাবরই স্পিন নির্ভর। আর ভারতে অধিকাংশও উইকেটও তাই হয়। তারপরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পাঁচ পেসার নিয়ে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ এই দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার মাত্র দুই জন। কেন এমন সিদ্ধান্ত। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ জানালেন, কোচের চাওয়া এবং কন্ডিশন বিবেচনা করেই দলে পাঁচজন পেসার নেওয়া হয়েছে। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের আগে বাছাই পর্ব খেলতে হবে। সেখানে আমাদের একটু সিমিং কন্ডিশন। আমরা যখন দল বানাই তখন কোচ ও অধিনায়কের একটা ভুমিকা থাকে। তারা ম্যাচে কি চিন্তা করছে এটা আমাদের জানানো হয়। আমার মনে হয় এই সিম বোলার নিয়ে কোচের কিছু পরিকল্পনা আছে। এ জন্যই আমরা পাঁচটা সিমার নিয়েছি। উইকেটের বিষয়টাও আমাদের মাথায় ছিল। প্রথম যেখানে খেলব, সেখানে সিমিং কন্ডিশনে এমন বোলার খুবই দরকার হবে।’বাংলাদেশ দলকে বাছাই পর্ব উতরে মূল পর্বে খেলতে হবে। আর মাশলাফিদের বাছাই পর্বের সব খেলাই অনুষ্ঠিত হবে ধর্মশালায়। এ মাঠের উইকেট পেস সহায়ক। কারণ, বছরের অধিকাংশ সময় এখানে প্রচুর ঠাণ্ডা থাকে। বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ওমান। যারা শীতের কন্ডিশনে অনেক ভালো খেলে থাকে। তাই প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন বিবেচনায় বাধ্য হয়েই পাঁচ পেসার নিয়ে দল গঠন করেছে বাংলাদেশ।তবে স্পিন আক্রমণ কম হয়ে গেল কি না জানতে চাইলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দুটো বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব ও সানি আছে। সঙ্গে নাসিরও আছে। তাকে তো এখন আর পার্টটাইমার বলা যাবে না। শেষ ছয় মাস ধরে মোটামুটি সে তার বোলিং কোটা পূরণ করে একজন অফস্পিনার হিসেবেই। তার সাথে ব্যাকআপ মাহমুদুল্লাহ আছে। ইদানিং সাব্বিরও বল করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আমি মনে করি না যে এখানে স্পিনে কোনো ঘাটতি আছে। আমার মনেহয় আমরা সম্ভাব্য সেরা কম্বিনেশন দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি।’আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement