দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চা শ্রমিকরা। শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল।
Advertisement
তিনি জানান, বিকেলে শ্রীমঙ্গলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বাগান মালিক ও চা শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা।
সভা শেষে ড. মো. আব্দুস শহীদ জানান, চা-শ্রমিকদের টানা আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাতত শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ প্রস্তাব নিয়ে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে চা-শ্রমিকদের চলমান সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক নাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন, চা-শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা রামভোজন কৈরী, সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহ-সভাপতি পঙ্কজ এ কন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা প্রমুখ।
Advertisement
এর আগে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন চা শ্রমিকরা। ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। পরে শনিবার বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/এমএস