জিএমই হানারো ফুটবল কাপ ২০২২ টুর্নামেন্ট ঘিরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সাজ সাজ রব এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে আবেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। দেশটির জনপ্রিয় রেমিট্যান্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান জিএমই রেমিট্যান্স প্রথমবারের মতো কোরিয়ায় আয়োজন করতে যাচ্ছে ১৬টি দেশের অংশগ্রহণে একটি জমকালো ফুটবল টুর্নামেন্ট, যার নাম দেওয়া হয়েছে জিএমই হানারো ফুটবল কাপ।
Advertisement
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রবাসীরা। কর্ম ব্যস্ত কোরিয়ায় শুধুমাত্র প্রবাসীদের নিয়ে এমন আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা খুবই উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ দলের প্রথম রাউন্ডের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি (সম্মিলিত)।
প্রথম রাউন্ড খেলার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠছে আগামী ২১ এবং ২৮ এ আগস্ট রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার আসান শহরের ঐতিহ্যবাহী সুনজাং ফুটবল মাঠে। স্বাগতিক দল হিসেবে ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে চীন বনাম ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান বনাম নেপাল, শ্রীলঙ্কা বনাম কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া বনাম সিআইএস প্রজাতন্ত্র এর মধ্যে খেলাগুলো এবং ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে মিয়ানমার বনাম থাইল্যান্ড, ওয়েস্টার্ন কান্ট্রি বনাম বাংলাদেশ, আফ্রিকান কান্ট্রি বনাম ভিয়েতনাম এবং ইন্ডিয়া বনাম ফিলিপাইনের ম্যাচগুলো।
বাংলাদেশের খেলা অনুষ্ঠিত হবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ২৮ আগস্ট রোববার বিকেল ৪টায়। প্রথম রাউন্ডে বিজয়ী দলগুলো নিয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের হিওচাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। প্রথম রাউন্ড থেকে সব টিমের জন্য জিএমই রেমিট্যান্সের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়দের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় জার্সি এবং ফাইনালের দিন দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় লাকি ড্র ও পুরস্কার সামগ্রী।
Advertisement
জমকালো এই ফুটবল আয়োজনে থাকছে মোট ১ কোটি কোরিয়ান উয়ন প্রাইজ মানি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫০ লাখ কোরিয়ান উয়ন। রানার্সআপ দল পাবে ২০ লাখ কোরিয়ান উয়ন, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারী দল পাবে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ কোরিয়ান উয়ন, সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তি পাবে পাঁচ লাখ কোরিয়ান উয়ন এবং সেরা গোলকিপার হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তি পাবেন পাঁচ লাখ কোরিয়ান উয়ন।
এ ব্যাপারে জিএমই রেমিট্যান্সের বাংলাদেশ কান্ট্রি হেড সজীব দাস বলেন, প্রথমবারের মতো কোনো কর্পোরেট হাউস হিসেবে আমরা নিজেরাই আমাদের গ্রাহকদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে এত বড় আয়োজন করতে যাচ্ছি এবং সকল দেশের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে মনে হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীরা একটি বিদেশিকেন্দ্রিক ভালো ফুটবল টুর্নামেন্টের সাক্ষী হবে।
এদিকে কোরিয়া থেকে ফুটবলপ্রেমী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী বাংলাদেশ টিম গঠন করা হয়েছে। সবাই জয়ের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, প্রবাসের মাটিতে এই ধরনের আয়োজন বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়তা করবে এবং প্রচুর দর্শক প্রিয়তার কারণে প্রথমবারের মতো এ আয়োজনকে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়।
এমআরএম/এএসএম
Advertisement