বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে বইমেলা’র আজ (বুধবার) তৃতীয় দিন। ইতোমধ্যেই বেশ জমে ওঠেছে। আর মেলায় আগত বই প্রেমিক ও দর্শনার্থীদের জন্য বাংলা একাডেমি চত্বরে খাবারের পরসা সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন দোকান। তবে চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি দোকানের খাবার। অথচ তদারকি করার কথা থাকলেও এ অসহনীয় মূল্যের খবর জানেন না মেলা কর্তৃপক্ষ।খাবারের এমন চড়া মূল্য নিয়ে অভিযোগ ছিল গত বছরও। তবে এ বছর তদারকি করার কথা থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণহীন খাবারের দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একমাত্র ক্যান্টিন স্থাপন করেছে বাংলা একাডেমি কর্মচারী ইউনিয়ন ও হামজা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কাবাব স্টোর। ক্যান্টিনটিতে বিভিন্ন খাবার বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। যা বাহিরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।এসব খাবারের মধ্যে হাঁসের মাংশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, মুরগির ঝাল ফ্রাই ২৫০ টাকা, বিফ ভুনা ৩০০ টাকা, সব ধরনের পিঠা ৩০ টাকা, ফুসকা ৬০ টাকা, চটপটি ৬০ টাকা ও কফি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অন্য কোনো ক্যান্টিন না থাকায় বাধ্য হয়ে চড়া দামেই এসব খাবার ক্রয়ে বাধ্য হচ্ছে মেলায় আগত দর্শনার্থী ও বই প্রেমীরা।বুধবার বিকেলে ক্যান্টিনে নাস্তা শেষে রোকসানা মিতা নামের এক সরকারি কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, “খাবারের মূল্য অনেক বেশি। নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে।”ক্যান্টিনের ক্যাশের দায়িত্বে থাকা তুষার জানান, নানা কারণে খরচ অনেক বেশি পড়ছে, তাই মূল্যও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।তবে এ বিষয়ে মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, “খাবার মূল্য নিয়ন্ত্রণে কমিটি রয়েছে, তারা এসব বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন।”খাবার মূল্যের সংবাদে অবাক হয়ে তিনি আরো বলেন, “অতিরিক্ত মূল্যে খাবার বিক্রি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”এএসএস/এমএম/এমএইচ/আরএস
Advertisement