জাতীয়

অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিতের সুপারিশ

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ১১তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাউন্সিলিং করারও সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।কমিটির সভাপতি টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামসুল হক টুকু, মো. ফরিদুল হক খান, আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম এবং কামরুন নাহার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সদস্যরা জানান, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ ভাল কাজ করছে।  তবে দুই চার জন্য পুলিশ সদস্য নানা রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা এবং শাস্তি দৃশ্যমান করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।’ এছাড়া ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার এবং ড্রাইভার নিয়োগে পুলিশের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকে ভাল কাজ করছেন। কিন্তু কেউ কেউ আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। ওইসব অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত ও দৃশ্যমান করার সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে সমাজ থেকে এধরনের অপরাধ কমে যায়। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করার একটা প্রচেষ্টা চলছে, এজন্য পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি সর্তক হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।কমিটির অপর সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়। এক্ষেত্রে আরো সুষ্ঠুভাবে তল্লাশি করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী, সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা এবং অতি সম্প্রতি এক ছাত্রী হয়রানির বিষয় সামনে এনে কমিটিতে আলোচনা হয়। এ ধরনের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই দুই একজনের দায় পুরো পুলিশ বাহিনী নিতে পারে না বলে কমিটিকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে কমিটিকে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।  পুলিশের আইজিপি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  এইচএস/একে/আরআইপি

Advertisement