জাতীয়

চলছে দ্বিতীয় দিনের জাতীয় পরিবেশ উৎসব

শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে চলছে জাতীয় পরিবেশ উৎসব। আজ শুক্রবার (১৯ আগস্ট) উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিন।

Advertisement

সকাল ৯টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) টিএসসিতে এই উৎসব শুরু হয়। ইউথপ্রেনার নেটওয়ার্কের আয়োজনে ও টেল প্লাস্টিকের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন করা হয়।

উৎসবের শেষ দিনটি শুরু হয় পরিবেশ বিষয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের মাধ্যমে। এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পরিবেশ বিষয়ক অলিম্পিয়াড, কুইজ, কর্মশালা, চিত্রাঙ্কন, ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বেশকিছু আয়োজন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় পরিবেশ উৎসব উদ্বোধন করা হয়। যা দেশে প্রথম।

Advertisement

উৎসব উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিরাজ চন্দ্র সরকার এবং আরএফএল গ্রুপের সহযোগী টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান।

এরই মধ্যে এই আয়োজন বেশ সাড়া ফেলেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। আয়োজক ও অভিভাবকরা বলছেন, পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এই আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

এই উৎসবে ২০০ এর বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। প্রথম দিনেই ৮০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিরাজ চন্দ্র সরকার বলেছিলেন, এসডিজির প্রধান কাজ হলো পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন। পরিবেশকে সমুন্নত না রেখে কোনো উন্নয়নই গ্রহণযোগ্য হবে না। বিদেশে গিয়েও দেখেছি তরুণরা প্রাণ-আরএফএল এর পণ্য ব্যবহার করে। বিদেশে আমাদের দেশের পণ্য রপ্তানি করছে এটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়।

Advertisement

একই অনুষ্ঠানে টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ১৪৫টি দেশে প্রাণ-আরএফএল পণ্য রপ্তানি করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকি আমরা। টেল প্লাস্টিকের একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো পরিবেশ নিয়ে কাজ করা। ‘পরিবেশের জন্য ব্যবসা’ এই স্লোগান কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করে সেটা বাজারজাত করে থাকি আমরা। আমাদের উচিত পরিবেশকে সমুন্নত রেখে কাজ করা। পরিবেশকে বাঁচানো। আমাদের দুটি হাতই পরিবেশকে সবচেয়ে বেশি দূষণ করে। আমরা যদি আমাদের হাত দুটি নিয়ন্ত্রণ করি পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

আরএসএম/জেডএইচ/জিকেএস