শিশু বাচ্চাদের প্রতি নজর রাখা পরিবারের লোকদের দায়িত্ব। বাচ্চাদের নামাজের নির্দেশ, নামাজ না পরলে তার শাস্তি প্রদান এবং বাচ্চার বিছানা পৃথক করার বিষয়টিও হাদিসের এক নির্দেশে বর্ণিত হয়েছে। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাচ্চাদের নামাজ পড়া এবং বিছানা পৃথক করার বিষয়টি সুস্পষ্ট বয়সের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কী সেই দিকনির্দেশনা?
Advertisement
পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সব অধীনস্থদের আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদের নিষেধ করা, তাদের আদব শেখানো এবং শরয়ি নিষিদ্ধ জিনিস থেকে তাদের বিরত রাখাও ওয়াজিব বা আবশ্যক। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আমর ইবনু শুআইব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি আমরের দাদা (আব্দুল্লাহ ইবনু আমর) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ’তোমরা নিজেদের সন্তান-সন্ততিদেরকে নামাজের আদেশ দাও; যখন তারা সাত বছরের হবে। আর তারা যখন দশ বছরের সন্তান হবে, তখন তাদেরকে নামাজের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।’ (রিয়াদুস সালেহিন, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
এ হাদিস থেকে সুস্পষ্ট যে, সাত বছর বয়স হলেই নামাজে তাগিদ দিতে হবে। আর ১০ বছর হলেই নামাজ পড়াকে বাধ্যতামূলক করেছেন। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের বিছানাও আলাদা করে দিতে হবে। অন্য হাদিসে এসেছে, বাচ্চাদের যখন ডান ও বাম সম্পর্কে বুঝ আসে তখন তাদের নামাজের তাগিদ দিতে হবে। আর ডান-বাম সম্পর্কে বুঝ আসে সাত বছর বয়সে।
Advertisement
সুতরাং বাচ্চাদের বয়স ১০ বছরে উপণীত হলেই তাদের বিছানা আলাদা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পরিবারের।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement