দেশজুড়ে

ভাড়া কমিয়েও মিলছে না লঞ্চযাত্রী

নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নিয়েও বরগুনা-ঢাকা রুটে মিলছে না লঞ্চযাত্রী। এ নিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন লঞ্চ মালিকরা। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকায় ছেড়ে যায় এমভি পূবালী-১ নামের একটি লঞ্চ।

Advertisement

এম কে শিপিং লাইন্সের বরগুনা ঘাটের ম্যানেজার এনায়েত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তেলের দাম বাড়ার আগে বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চের ডেকের ভাড়া নেওয়া হতো ৫০০ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ৬০০ ও ডাবল কেবিন তিন হাজার টাকা। বর্তমানে তেলের দাম বাড়ার পর নতুনভাবে বরগুনা-ঢাকা রুটে ডেকের ভাড়া ৭৬৩ টাকা ও সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার ৫২ টাকা ও ডবল ক্যাবিন ৬ হাজার ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তবে বরগুনার যাত্রীদের কথা বিবেচনায় তারা নির্ধারিত মূল্যের থেকেও কম ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছেন। বর্তমানে ডেকে নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১৬৩ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গেল কেবিন তিন হাজার টাকা করা হলেও এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে পূর্বনির্ধারিত মূল্য এক হাজার ৬০০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। আর ডাবল কেবিনেও তিন হাজার ১০৪ টাকা কমিয়ে আগের ভাড়া তিন হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

নির্ধারিত ভাড়ার থেকে কম ভাড়া নেওয়ার পরেও যাত্রী কম এ বিষয়ে তিনি জানান, সবাই ভাবছে হয়তো বরগুনার রুটে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যাত্রীরা যখন জানতে পারবে যে বরগুনার যাত্রীদের কম ভাড়ায় লঞ্চে পরিবহন করা হয় তখন যাত্রী বেড়ে যাবে।

Advertisement

ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশই জানেন না নির্ধারিত মূল্যের থেকে কমিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে লঞ্চে। তারা নৌপথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বলেই লঞ্চে যাত্রা।

ঢাকাগামী যাত্রী রাসেল ফকির জাগো নিউজকে জানান, ভাড়া সড়ক পথেও বেড়েছে, তবে লঞ্চে গেলে নিরিবিলি পরিবেশে ঢাকা পৌঁছানো যায়। তাই লঞ্চেই পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন তিনি। তেলের দাম বাড়ার আগে বরগুনা থেকে প্রতিদিন বিকেল দুটি লঞ্চ ছেড়ে গেলেও বর্তমানে একটি লঞ্চ চলছে। এম এ আজীম/আরএইচ/জিকেএস