জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত অনেক বেশি। আর তা যদি হয় প্রথম কাতারে তবে এর রয়েছে বিশেষ ফজিলত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর জন্য বিশেষ দোয়া করেছেন। কী সেই দোয়া?
Advertisement
আজানের সঙ্গে সঙ্গে নামাজের প্রস্তুতি ও জামাতে অংশ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ং আল্লাহ। একা একা নামাজ আদায়ের চেয়ে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে রয়েছে ২৫ গুণ সওয়াব। কোনো কোনো বর্ণনা ২৭গুণ সওয়াব পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জামাতের কাতার ভেদে নামাজ আদায়েও রয়েছে সওয়াব ও মর্যাদায় বিশেষ পার্থক্য। কেননা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতের প্রথম কাতারে নামাজ পড়া ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করেছেন। তাহলো-
১. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য তিনবার ও দ্বিতীয় কাতারের মুসল্লিদের জন্য একবার দোয়া করেছেন।
Advertisement
২. দ্বিতীয় কাতারের নামাজ আদায় করার চেয়ে প্রথম কাতারে নামাজ পড়া উত্তম।
৩. প্রত্যেক কাতারের বাম দিক থেকে ডান দিক উত্তম।
৪. আল্লাহ তাআলা জামাতের প্রথম কাতার এবং কাতারের ডান দিকের ওপর রহমত বষর্ণ করেন।
৫. তাঁর ফেরেশতাগণ প্রথম কাতারের এবং কাতারের ডানদিকের লোকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
Advertisement
এসব ঘোষণায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় এবং কাতারের ডান দিকে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। যাতে জামাতে নামাজের প্রতি উম্মতে মুসলিমার আগ্রহ-উদ্দীপনা ও উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। মানুষ প্রথম কাতারে এবং ডান দিকে দাঁড়াতে উৎসাহিত হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে তাঁর রহমত কামনায় প্রথম কাতারে এবং ডান দিকে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায়ের জন্য তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস