রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
Advertisement
উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত করছে থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় দোষী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের পাশাপাশি ডিএমপি গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের টিমও ছায়া তদন্ত করছেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গার্ডার দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি থানা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরাও মামলাটির ছায়া তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
Advertisement
গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে এ দুর্ঘটনার পর রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলাটি (নং-৪২) করেন। মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন। ওই গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝরণা আক্তার (২৭), জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। এরইমধ্যে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আহত নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ঢাকার বিচারিক আদালত।
Advertisement
গত ১৫ জুলাই গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের ‘লঞ্চিং গার্ডার’ চাপায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় এক শ্রমিক ও একজন পথচারী আহত হন। এরপরও জননিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সোমবার আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম