ফিচার

শবনমের জন্ম ও শামসুর রাহমানের প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

১৭ আগস্ট ২০২২, বুধবার। ২ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৯১০- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বাংলায় প্রথম প্রকাশিত হয়।১৯৪৭- ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতে নিয়োজিত ব্রিটিশ বাহিনীর প্রথম ব্যাটালিয়ন স্বদেশের উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করে।১৯৯৯- তুরস্কে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।২০০৫- বাংলাদেশের ৬৩টি জেলার ৩০০টি স্থানে প্রায় ৫০০ হাতে তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।২০০৬- পাবনায় বন্দুক যুদ্ধে ১০ জন নিহত।

জন্ম১৭৬১- ব্রিটিশ খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক, বাংলায় গদ্য পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তক উইলিয়াম কেরি।১৮০১- ছিলেন একজন সুইডিশ লেখক ও নারীবাদী সংস্কারক ফ্রেডরিকা ব্রেমার।১৯২০- নৌ-বিদ্রোহের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায়।১৯৪০- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম। আসল নাম ঝর্ণা বসাক। শবনম নামে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। জন্ম ব্রিটিশ ভারতে। শৈশবেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছিলেন শবনম। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। সেখানেই একটি নৃত্যের অনুষ্ঠানে এহতেশাম তার নাচ দেখে এদেশ তোমার আমার চলচ্চিত্রের নৃত্যে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন‘ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শবনম। ১৯৬২ সালে উর্দু চলচ্চিত্র চান্দা ছবির মাধ্যমে তৎকালীন সমগ্র পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান রাখায় শবনম সম্মানসূচক পুরস্কার হিসেবে মোট ১২বার নিগার পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ২০১৯ সালের লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।১৯৭২- বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।

Advertisement

মৃত্যু১৯০৯- ভারতের অগ্নিযুগের বিপ্লবীর ফাঁসি হয় মদন লাল ধিংড়া।১৯৪৯- ঢাকা অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পুলিনবিহারী দাস।২০০৪- বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইসাধন বসু।২০০৬- প্রখ্যাত বাংলাদেশি কবি শামসুর রাহমান। পুরনো ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে জন্ম তার। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ৪র্থ। পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। ১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। বিংশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। জীবদ্দশায়ই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছিলেন। একজন কবি হিসেবে খ্যাতিমান তেমনি তার শিশুদের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ছিল। একারণে তিনি শিশুদের জন্য লিখেছেন বেশ ক’টি বই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি কবিতা খুবই জনপ্রিয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মজলুম আদিব (বিপন্ন লেখক) ছদ্মনামে কলকাতার বিখ্যাত দেশ ও অন্যান্য পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। তিনি আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, আনন্দ পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।

কেএসকে/জেআইএম