পরিবেশ দূষণ রোধে খুলনার দৌলতপুরে ‘ফেলে দেওয়া’ প্লাস্টিক সামগ্রী জমা দিয়ে উপহার পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে স্কুল শুরুর আগেই নিজেদের বাসা ও স্কুলের আশপাশে থেকে অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে জড়ো হয় দৌলতপুর মুহসীন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে এসব প্লাস্টিকের বিনিময়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় রং-বেরঙের মাটির ব্যাংক ও মাটির তৈরি খেলনা।
আয়োজনে ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইড।
শতাধিক শিক্ষার্থীর জমা দেওয়া প্লাস্টিকের ওজন মেপে হয় ২০ কেজি। পরে এগুলো বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে স্কুলে রোপণ করা হয় একটি নিমগাছ ও একটি পেয়ারা গাছ।
Advertisement
সরেজমিন আয়োজনস্থলে দেখা যায়, প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্য নির্মিত অস্থায়ী বুথে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। সবার হাতে ব্যাগভর্তি প্লাস্টিক সামগ্রী। বেশিরভাগই প্লাস্টিকের বোতল। এগুলো জমা দিয়ে যার যার পছন্দমতো বিভিন্ন ফলের অবয়বে তৈরি মাটির ব্যাংক ও শোপিস নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে বয়সে ছোটদের মধ্যে উদ্দীপনা যেন একটু বাড়তিই ছিল।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আব্দুল্লাহ সাকিব বলে, ‘লাল সবুজ সোসাইটির ভাইয়া-আপুরা আমাদের স্কুলে পরিবেশ দূষণ রোধে বিভিন্ন কাজ করছেন। তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই ওয়ান টাইম প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আজ প্লাস্টিকের বোতল জমা দিয়ে গিফট পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরাও প্লাস্টিক দূষণ রোধে এখন থেকে কাজ করবো।’
জানতে চাইলে লাল সবুজ সোসাইটির খুলনা শাখার স্বেচ্ছাসেবক আবির আহমেদ বলেন, একটি প্লাস্টিকের বোতল ৪০০ বছরেও পচে না। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এজন্য শৈশব থেকে আমরা শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজ করছি। আমরা চলে যাওয়ার পরও যেন শিক্ষার্থীরা পরিবেশ নিয়ে কাজ করে সেজন্য একটি ক্লাইমেট ক্লাবও করে দিয়েছি আমরা।
ইয়ুথ মোবিলাইজেশন ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় খুলনাসহ সারাদেশের ১০টি জেলার ১০টি স্কুলে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে লাল সবুজ সোসাইটি। এতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এসআর/জেআইএম