মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে এখনো হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে আন্দোলন চলছে। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা বাস্তবায়নের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
Advertisement
এদিকে, মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে বৈঠক করে বাগান কর্তৃপক্ষ। দিনভর আলোচনা করেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। বুধবার চা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ঢাকার শ্রমভবনে এ নিয়ে ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবি করলেও বাগান কর্তৃপক্ষ ১২০ টাকা থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করতে রাজি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাগান মালিকরা মজুরি বৃদ্ধির জন্য সময় চান। তারা বলেছেন, এখন চায়ের মৌসুম। কয়েকদিন পরে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড়।
Advertisement
নৃপেন পাল আরও বলেন, আমরা দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা হলেই কাজে ফিরব। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকায় শ্রমভবনে এ নিয়ে ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশা করছি।
কামাইছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি বিমল ভর বলেন, বৈঠক চলছে কিন্তু এখনো কোনো সমাধান হয়নি। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর যদি আমাদের ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি পূরণ হয় তবে আমরা বুধবারই কাজে যোগ দেবো।
দাড়াগাঁও চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, বলা হয় আমাদের নাকি বাড়ি, চিকিৎসা, শিক্ষা মিলিয়ে মোট দৈনিক ৪০৩ টাকা দেওয়া হয়। বাস্তবে আমাদের দেওয়া হয় মাত্র ১২০ টাকা। এ দিয়ে কীভাবে চলে, যেখানে এক হালি ডিমের দাম ৬০ টাকা সেখানে ১২০ টাকায় কী হয়? আমাদের দাবি দৈনিক মজুরি ৩০০ মাত্র টাকা। এর থেকে কম হলে তা আমরা মানবো না। প্রয়োজনে বুধবার থেকে আমরা মহাসড়ক অবরোধ করবো।
এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানের শ্রমিকরা। বিভিন্ন বাগানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা। এসময় তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। প্রয়োজনে বুধবার মহাসড়ক অবরোধেরও হুমকি দেন।
Advertisement
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমআরআর/জেআইএম